সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে যন্ত্র নির্ভরতা৷ প্রযুক্তিকে আঁকড়ে সময়ের তালে ছুটছে নগর সভ্যতা৷ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চললেও আজ ব্যতিক্রম লক্ষ্মী বাঈয়ের মতো অসংখ্য সাধারণ মানুষ৷ অবিচল নিজের পেশায়৷ পেশার টানে পুরনো টাইপ রাইটার আঁকড়ে এখনও স্বপ্ন দেখেন বছর ৭২-এর ‘তরুণী’৷ যন্ত্রের গতিতে টাইপ রাইটারে হাত রেখে লিখেই চলেন পাতার পর পাতা৷ দিনের শেষে যৎসামান্য উপার্জনেই চলে সংসার৷ কিন্তু, হঠাৎ বদলে গেল জীবন৷ এক টুইটেই রাতারাতি ‘সেলেব’ লক্ষ্মী বাঈ৷ এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওয় লক্ষ্মী বাঈয়ের কেরামতি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ জুন৷ সোশ্যাল মিডিয়া বিক্ষিপ্ত ভাবে ভেসে বেরানো একটি ভিডিও দেখে আপ্লুত হয়ে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা বীরেন্দ্র শেহওয়াগ৷ ঝড়ের গড়িতে টাইট রাইটারে লক্ষ্মী বাঈয়ে টাইপিংয়ের একটি ভিডিও টুইট করেন তিনি৷ লেখেন, “সুপার উওম্যান৷ এই মহিলা থেকে ভারতীয় যুব সমাজকে শেখা উচিত৷ কারণ, তিনি শুধু ঝড়ের গতিতে টাইপিং করছেন না, ছন্দে কাজ করছেন৷’’
টুইট করতে না করতেই ভাইরাল হয় ভিডিও৷ বৃদ্ধার টাইপিংয়ের গতি দেখে অতি-উৎসাহে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন বীরু৷ পরে মধ্যপ্রদেশের সিহোরে লক্ষ্মী বাঈয়ের সন্ধান পাওয়া যায়৷ সন্ধান মিলতেই বীরেন্দ্র শেহওয়াগ তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানান৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মী বাঈ বলেন, ‘‘আমি খুশি৷ বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মতো একজন ব্যক্তি আমাকে নিয়ে লিখেছেন৷’’
মধ্যপ্রদেশের সিহোরে জেলাশাসকের দপ্তরের বাইরে একচালা ঘরে টাইপ রাইটারের কাজ করেন৷ ঝড়ের বেগে টাইপ করে লেখেন পাতার পর পাতা৷ দিনের শেষে মেলে মজুরি৷ ৭২ বছরের বৃদ্ধার উপার্জনে চলে গোটা সংসার৷ একেই অভাব, তার উপর মেয়ের দুর্ঘটনায় শেষ বয়সে ঋণগ্রস্ত লক্ষ্মীদেবী৷ ফলে, সংসারে তিনিই রোজগেরে৷ তাই বীরেন্দ্র শেহওয়াগের প্রশংসা শুনেও গলায় আক্ষেপ লক্ষ্মী বাঈয়ের৷ আরজি, যদি কিছু আর্থিক সাহায্য মেলে, তাহলে শেষ বয়সে ঋণের বোঝা চুকিয়ে নিশ্চিন্তে পৃথিবীর মায়া কাটাতে পারেন লক্ষ্মী বাঈ৷
The post ঝড়ের গতিতে টাইপ! শেষ বয়সে ঋণ চুকিয়ে মরতে চান ৭২-এর ‘সুপার উওম্যান’ appeared first on Sangbad Pratidin.