সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসের তিন নাবালকের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এমনকী গণধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ব্ল্যাকমেলও করা হল কিশোরীকে। যে ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত পয়লা জুলাই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুড্ডালোর জেলায়। দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রথমে নিজের উপরে হওয়া নির্যাতনের কথা ভয়ে জানাতে পারেনি কাউকে। পরে পরিবারকে সবটা বললে অভিভাবকরাই পুলিশে অভিযোগ জানান। পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়, গত কয়েকদিন ধরে কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছিল না ওই ছাত্রী। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল। তখনই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। বারংবার জিজ্ঞেস করায় সমস্ত ঘটনা খুলে বলে নাবালিকা। জানায়, মে মাসে বাড়ির অজান্তে এক সহপাঠী ছাত্রের জন্মদিনে শামিল হয়েছিল নির্যাতিতা। স্কুল চত্বরেই ওই ছাত্রের জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘প্রিয় বন্ধু’ আবের মৃত্যুতে শোকার্ত মোদি, জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতে]
ছাত্রীটি যে জন্মদিনের সেলিব্রেশনে উপস্থিত ছিল, তিন ছাত্র প্রমাণ হিসেবে তার ভিডিও করে রাখে। এরপর ছাত্রীকে আলাদা করে ডেকে বলা হয়, তাদের কথা না শুনলে ভিডিওটি বাড়িতে দেখিয়ে দেওয়া হবে। এতেই ভয়ে সিঁটিয়ে যায় নাবালিকা। সহপাঠীদের বারবার ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। উত্তরে তিন ছাত্র বলে, যে মোবাইলে ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছিল, সেটি একটি বাড়িতে রাখা আছে। নাবালিকাকে সেই বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। সৎবিশ্বাসে সেখানে পৌঁছেও যায় নাবালিকা। কিন্তু সেখানে যে ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছিল বড়সড় বিপদ, তা আন্দাজও করতে পারেনি সে।
ওই বাড়িতেই গণধর্ষণের (Gang Raped) শিকার হয় ছাত্রীটি। সেই দৃশ্যও ক্যামেরাবন্দি করে তিন ছাত্র। হুমকি দেওয়া হয়, কারও কাছে মুখ খুললেই গোটা স্কুলে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই ভয়েই প্রথম কয়েকদিন মুখ বন্ধ রেখেছিল নাবালিকা। পরে পরিবারকে জানালে তাঁরাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পকসো আইনে তিন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তবে নাবালক হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এমন ঘটনার পর থেকে মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে নাবালিকা।