সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধর্ষণ যোগীরাজ্যে (Uttar Pradesh)। ১২ বছরের বালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখে ১৫ বছরের কিশোরী দিদিকে গণধর্ষণে (Physical harassment) অভিযুক্ত ৪ জন। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। বাকি ৩ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, মুজফফরনগরের এক গ্রামে বাস ওই কিশোরীর পরিবারের। গত শনিবার তার বাবা-মা অন্য এক গ্রামে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। ঘরে ঘুমিয়ে ছিল দুই ভাইবোন। এরপরই সেখানে প্রবেশ করে মূল অভিযুক্ত। সে আসলে ওই কিশোরীর প্রতিবেশী। দু’জনকে ঘুমন্ত দেখে সে ডেকে আনে তার তিন সঙ্গীকে। এরপর ছোট ছেলেটির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে শাসানো হয়, মুখ খুললে তাকে খুন করা হবে। এরপরই ছোটভাইয়ের সামনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশের কোভিড গ্রাফে সামান্য উন্নতি, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ নামল ৩০ হাজারের নিচে]
তারা পালিয়ে গেলে ছেলেটি ফোন করে তার বাবা-মা’কে খবর দেয়। তাঁরা দ্রুত বাড়ি ফিরে দেখতে পান ওই কিশোরী অচেতন হয়ে রয়েছে। কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা অভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে সব জানালে উলটে তাঁদেরই হুমকি দেওয়া হয় কথা বাড়ালে ফল ভাল হবে না।
ইতিমধ্যেই মেয়েটির মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে। তদন্তকারী ৫টি দল তল্লাশি চালিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্ত পলাতক। চতুর্থ তথা মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ছাড়াও অন্যের বাড়িতে অবৈধ প্রবেশ, ভয় দেখিয়ে অপরাধের অভিযোগও আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে পকসো আইনেও অভিযোগ রুজু করেছে পুলিশ।
যোগী আদিত্যনাথের আমলে উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলেই দাবি। বিরোধী দলগুলি বহুবারই এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। আগামী বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের ঘটনা যোগী প্রশাসনকে অস্বস্তি রাখবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।