সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। শুধু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াই নয়, পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতে উঠে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। পাকিস্তান প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে। সীমান্তে মারা যাচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে ভারতীয় জওয়ান। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন পাকিস্তানের অনুষ্ঠানে যাবেন ও জাতীয় সংগীতে উঠে দাঁড়াবেন, এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির মন্ত্রীর এই আচরণকে শহিদদের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা বলেও মন্তব্য করছেন কেউ কেউ।
[ইসলামাবাদে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বাসভবনে ISI হানা, তোলপাড় নয়াদিল্লি]
শুধু নিয়ন্ত্রণরেখাতেই নয়, ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কও এখন তলানিতে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কারণে-অকারণে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের হেনস্তার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। সে দেশে টিকতে দেওয়া হচ্ছে না ভারতীয় আধিকারিকদের। রাতে টেলিফোনে হুমকি, দিনে বাড়ির কলিং বেল বাজিয়ে পালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তা সত্ত্বেও কেন ভারত প্রতিবেশীর সঙ্গে এমন নমনীয় আচরণ করছে, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কোনও কোনও মহলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তো পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ক’দিন আগেই। তাহলে এই পরিস্থিতিতে কী করে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিল কেন্দ্র, উঠছে প্রশ্ন। ১৯৪০-এর ২৩ মার্চ পাশ হয় লাহোর রেজোলিউশন। যাকে অনেকে ‘পাকিস্তান রেজোলিউশন’ও বলেন। সেই থেকে প্রতি বছর ওই দিনটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে উদযাপন করে পাকিস্তান। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।
[কীভাবে পাকিস্তানে প্রতিদিন হেনস্তা হচ্ছেন ভারতীয় কূটনীতিবিদরা?]
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য এই বিতর্ককে ধামাচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন, ভারত সবসময়ই শান্তির পক্ষে। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে ভারত প্রমাণ করতে চায়, তারা যুদ্ধের পক্ষে নয়। শুধু নয়াদিল্লিতেই নয়, ইসলামাবাদে মূল অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন ভারতের কূটনীতিবিদ ও সেনাকর্তারা। যা সাম্প্রতিককালে এই প্রথম। এ আসলে মৈত্রীর বার্তা, বলছে কেন্দ্র। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করতেই ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা পাক সেনা প্যারেডে যোগ দেন। পালটা পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও নয়াদিল্লিকে শান্তির বার্তা পাঠিয়েছেন। ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার জে পি সিং ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতা ব্রিগেডিয়ার পি বিশ্বাসরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে পাক মিডিয়া।
দেখুন ভিডিও:
#WATCH: Union Minister of State for Agriculture Gajendra Singh Shekhawat at Pakistan High Commission to attend the Pakistan National Day reception. #Delhi pic.twitter.com/tBWldVESKu
— ANI (@ANI) March 23, 2018
The post পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতে উঠে দাঁড়িয়ে রোষের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.