সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী রইল কেরলের এর্নাকুলাম জেলার তিরুভানকুলাম। সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে নদীতে ছুড়ে খুন করার অভিযোগ উঠল খোদ মায়ের বিরুদ্ধে। তাও আবার অদ্ভুত এক কারণে। কিন্তু একরত্তির দেহ উদ্ধার হতেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। এরপর তার বাবা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দেখা যায় শেষবার শিশুটিকে তার মায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এরপরই অভিযুক্ত মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরায় ওই মহিলা নিজের মেয়েকে নদীতে ফেলে খুনের কথা স্বীকার করেন। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ওই মহিলা পুলিশকে জানান, তিনি স্বপ্নে দেখেন স্বামী তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে নতুন বিয়ে করেছেন। সেই সঙ্গে শিশুটিকেও নিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরেই শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে খুন করেন!
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর ২২ সদস্যের একটি দল তৈরি করা হয়। চারজন সিনিয়র মহিলা অফিসার ও তিনজন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। শিশুটির মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের সময় একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। এরপরই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ জানতে পারে শিশুটিকে তার কাকা ধর্ষণ করেছিল। অভিযুক্ত কাকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত শিশুটির মা ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। সেই কারণেই তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এবিষয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।
