shono
Advertisement

Breaking News

বন্ধ প্রকাশ্যে মাছ-মাংস-ডিম বিক্রি, রুটিরুজি হারিয়ে বিপন্ন আহমেদাবাদের ব্যবসায়ীরা

একই ছবি বরোদা কিংবা রাজকোটের মতো শহরেও।
Posted: 02:00 PM Nov 16, 2021Updated: 03:38 PM Nov 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় পরিবর্তন গুজরাটের (Gujarat) আহমেদাবাদের (Ahmedabad) খাবারের স্টলগুলিতে। আগেই প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার থেকে আমিষ খাবার (Non-vegetarian food) বিক্রি করতে হলে তা করতে হবে রেখেঢেকে। সেই পদক্ষেপের ফলেই এবার শহরের পথেঘাটে আমিষ বিক্রি করতে গিয়ে আতান্তরে পড়তে হয়েছে বিক্রেতাদের। স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় স্থানের মতো জনবহুল স্থানগুলিতে আর পশরা সাজিয়ে বসতে পারছেন না তাঁরা। নয়া এই নিয়মের ধাক্কায় এবার রুজিরুটি হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নিজেদের অসহায়তার কথা বলতে গিয়ে রাকেশ নামের এক আমিষ স্টলের মালিক জানিয়েছেন, ”হোটেলগুলিকে অনুমতি দিয়ে আমাদের নিষিদ্ধ করার কী অর্থ? সেখান থেকে কি আমিষের গন্ধ বেরোবে না?” নয়া নিয়ম ঘিরে এভাবেই বাড়ছে ফুটপাথের আমিষ বিক্রেতাদের বিপন্নতা ও ধন্দ। সুন্দর নামের এক বিক্রেতার দাবি, ”আমি তো শুনেছিলাম ডিম বিক্রি করায় সমস্যা আছে। কিন্তু আমি স্যান্ডউইচ বিক্রি করি বলে আমাকে বসার অনুমতিই দেওয়া হচ্ছে না।”

[আরও পড়ুন: সিবিআই, ইডি প্রধানের পর মেয়াদ বাড়তে চলেছে RAW ও আইবি শীর্ষকর্তারও]

এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল? তিনি অবশ্য আমিষ-নিরামিষের দ্বন্দ্বকে স্বীকারই করছেন না। তাঁর কথায়, ”এটা আমিষ-নিরামিষের ব্যাপার নয়। মানুষ যা চায় খেতে পারে। কিন্তু খাবারের স্টলে যে রাস্তায় ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা না হয়।” সেই সঙ্গে বিক্রীত খাদ্য যেন স্বাস্থ্য়বিধি মেনে তৈরি করা হয় সেদিকেও জোর দিতে চেয়েছেন তিনি। পুরো সিদ্ধান্তটাই স্থানীয় প্রশাসন নিচ্ছে বলেই দাবি তাঁর।

কেবল আহমেদাবাদ নয়, গুজরাটের অন্যান্য শহরেও এই ধরনের নিয়ম চালু হয়েছে। বিজেপি নেতাদের দাবি ছিল, রাস্তার ধার থেকে আমিষ খাবারের স্টল সরিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবি মেনেই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। আহমেদাবাদ পুরসভার নির্দেশ, স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে এই ধরনের স্টল করা যাবে না। বরোদা ও রাজকোটের মতো শহরেও এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন, শীর্ষ আদালতের সুপারিশে হাই কোর্টের বিচারপতি হতে পারেন সমকামী আইনজীবী]

রাজ্য়ের গেরুয়া শিবিরের এক নেতা তথা বরোদার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র প্যাটেল খোলাখুলিই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ”সমস্ত আমিষ পদই এমন ভাবে ঢেকে রাখতে হবে যেন পথচলতি কোনও মানুষের চোখে তা না পড়ে। এতে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। এটা ঠিকই, এতকাল আমিষ পদ খুল্লমখুল্লা বিক্রি হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমিষ খাবার যেন দেখা না যায়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement