সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ব্যারো অফ ইন্ডিয়া বা সেবির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ-এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সেবির দায়িত্বে থাকাকালীন শেয়ারবাজারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল মাধবীর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই মাধবী-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।

সেবির চেয়ারপার্সন থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল মাধবী পুরী বুচ-এর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ ছিল মাধবী সেবির দায়িত্বে থাকাকালীন শেয়ার বাজারেব্যাপক আর্থিক কারচুপি, বেনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। শনিবার এই মামলার শুনানিতে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত জানায়, কারচুপি যে হয়েছে তার প্রাথমিক প্রমাণ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। ফলে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। আদালতের নজরদারিতেই এই মামলার তদন্ত হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে তদন্তের স্টাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের পালটা উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সেবি।
উল্লেখ্য, গত বছর মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের এক রিপোর্ট রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল দেশে। সেই রিপোর্টে সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যেখানে বলা হয়, মাধবী সেবির চেয়ারপার্সন হওয়ার পরও তাঁর ও তাঁর স্বামীর আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা, যে সংস্থা বিভিন্ন শিল্প সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে, সেখানে যুক্ত ছিলেন। বলা হয়, বিভিন্ন অখ্যাত ও বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নি করিয়ে কৃত্রিমভাবে আদানিদের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি করানো হয়। সেই লগ্নিতে ছিল বুচ দম্পতির অর্থও। সঙ্গে যুক্ত হয় বিরোধীদের নানা দাবি। বলা হয়, সেবির দায়িত্বে থেকেও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নিয়মিত বেতন তুলেছেন মাধবী। এক সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী স্বয়ং মাধবীর অপসারণের দাবি তোলেন।
এই ঘটনায় মাধবীকে তলব করেছিল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। তবে সেই বৈঠক এড়িয়ে যান সেবি প্রধান। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠক মুলতবি করে দেন কমিটির চেয়ারম্যান কে সি বেণুগোপাল। সেই ঘটনার পর গত কয়েক মাস বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে থাকলেও, এবার আদালতের নির্দেশে বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন সেবি প্রধান।