সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূল এজেন্ডা ছিল অর্থনীতির বেহাল দশা, বেকারত্ব, সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ, এজেন্সি ব্যবহার করে বিরোধীদের দমনের মতো ইস্যু। কিন্তু, কংগ্রেসের এই ‘ভারত বাঁচাও’ ব়্যালি বাস্তবে পরিণত হল দ্বিতীয়বার রাহুল গান্ধীর অভিষেকের প্রস্তুতি মঞ্চে। জনসভা থেকে মোদি সরকারকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগার পাশাপাশি, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
এদিন, এই ব়্যালির প্রস্তুতির জন্য রাজধানী জুড়ে বড়বড় হোর্ডিং, ব্যানার, কাট-আউট লাগিয়েছিল কংগ্রেস। যাঁর অধিকাংশই মূলত রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্র করে। গান্ধী পরিবারের বাকি সদস্যদের ছবি থাকলেও, রাহুলকেই যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আলাদাভাবে রাহুল গান্ধীর বিরাট বিরাট কাট-আউটও দেখা গেল। যুব কংগ্রেসের যে কর্মীরা টি-শার্ট পরে এসেছিলেন, তাতেও ছিল রাহুলের ছবি। স্লোগান থেকে শুরু করে যাবতীয় পোস্টার-ব্যানার শুধু রাহুলময়। এসব দেখে রাজনৈতিক মহল মোটামুটি নিশ্চিত, শীঘ্রই ফের কংগ্রেসের শীর্ষপদে ফিরছেন গান্ধী পরিবারের যুবরাজ।
[আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরকে জরুরি তলব নীতীশ কুমারের, বহিষ্কার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]
এদিন জনসভা থেকেও রাহুলের সুর ছিল চড়া। রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলে দিলেন, “আমার নাম রাহুল গান্ধী, সাভারকর নয়। আমি ক্ষমা চাইব না। ক্ষমা যদি চাইতেই হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাইতে হবে। ওঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত শাহকে চাইতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ওঁদের ক্ষমা চাইতে হবে।” ওয়ানড়ের সাংসদের অভিযোগ, “এই দেশকে ভাগ করার কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক ধর্মকে অন্য ধর্মের সঙ্গে লড়াই করাচ্ছেন। এক জাতকে অন্য জাতের সঙ্গে লড়াই করাচ্ছেন। জম্মু কাশ্মীরে যান, অসমে যান, মণিপুর যান, মেঘালয় যান, দেখতে পাবেন নরেন্দ্র মোদি কী করেছেন। ও দেশকে দুর্বল করছে। হিন্দুস্তানকে মজবুত করার জন্য আপনাকে ভোট দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সে কাজটা আপনি করছেন না। জিডিপি ৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব সর্বোচ্চ। অথচ, সেদিকে নজর না দিয়ে আপনি বাটোয়ারায় ব্যস্ত।”
The post “আমি সাভারকর নই, ক্ষমা চাইব না”, দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের appeared first on Sangbad Pratidin.