সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : কী বলবেন একে? বলিউডি চিত্রনাট্য? অন্তত নাসিকের এক ব্যক্তি যা করলেন তাতে বলিউডি চিত্রনাট্যও যেন হার মানে। কী করল ওই ব্যক্তি? জীবনবীমার টাকা পেতে প্রথমে একজনকে খুন করে সে। পরে আবার মৃত ব্যক্তির দেহ নিজের বলে চালানোর চেষ্টা করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃতদেহের ময়নাতদন্তেই ধরা পড়ে গেল আসল ঘটনা। মূল চক্রী নাসিকের রিয়েল এসেস্ট ব্রোকার রামদাস ওয়াগাহ আপাতত ফেরার। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রান্তের সঙ্গে রামদাস-সহ যুক্ত মোট চারজন। চার চক্রান্তকারীর একজন হোটেলের মালিক। রামদাসদের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে ওই হোটেলের এক ওয়েটারকে।
[GST-র পুরো মানে জানেনই না যোগীর রাজ্যের এই মন্ত্রী]
নাসিকের ত্রিম্বকেশ্বরে গত ৯ জুন একটি দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রথমে গোটা ঘটনাটিকে গাড়ি দুর্ঘটনা বলেই মনে করেছিল। মৃতদেহ দেখে শনাক্তকরণের উপায় ছিল না। কারণ গোটা মুখটি ছিল ক্ষতবিক্ষত। মৃতের পোশাক, এটিএম কার্ড, বিদ্যুৎ বিলের মতো নথি থেকে পুলিশ জানতে পারে দেহটি রামদাসের। তবে গোলমাল বাধে ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে। জানা যায়, পথ দুর্ঘটনা নয়, এটি খুনের ঘটনা। পুলিশ ইন্সপেক্টর কিশোর নাভালে জানান, ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়।
[ঝাড়খণ্ডে ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব, পিটিয়ে খুন এক ব্যক্তিকে]
রামদাসের বাড়িতে যায় পুলিশ। হাতে আসে অপ্রত্যাশিত তথ্য। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, বেঁচেই রয়েছে রামদাস। রীতিমতো সুস্থ শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে। তদন্ত এগোলে মৃতের পরিচয়ও সামনে আসে। মৃত ব্যক্তি স্থানীয় রেস্তরাঁর কর্মী মুবারক চাঁদ পাশা। ৪৫ বছরের এই রেস্তরাঁ কর্মী গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ুতে। সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রোলিং’ রুখতে উদ্যোগ নিল টুইটার কর্তৃপক্ষ]
এরপর পুলিশ জানতে পারে, বীমার চার কোটি টাকা পেতে এই চক্রা্ন্ত করেছে রামদাস। রামদাস নিজের নামে তিনটি বীমা কোম্পানিতে মোট ৪ কোটি টাকার পলিসি করিয়েছিল। খুনের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্রে যুক্ত রামদাসের সহযোগী তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও, এখনও ফেরার রামদাস। তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। চলছে তল্লাশি।
The post জানেন, বীমার টাকা পেতে কী করল এই ব্যক্তি? appeared first on Sangbad Pratidin.