সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন পরেই পরমাণু মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত। তার আগেই ভারত মহাসাগরে দেখা মিলল চিনা নজরদারি জাহাজের। ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, সমুদ্রে লালফৌজের জাহাজটির গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছে চিনের (China) নজরদারি জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৬’ (Yuan Wang 6)। এটিকে গবেষণা ও সমীক্ষার কাজে ব্যবহার হয় বলে বেজিং দাবি করলেও, এর মাধ্যমে মূলত নজরদারির কাজ চালানো হয় বলে মনে করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মহল। আশঙ্কা, এই জাহাজে মজুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী সেন্সর ও রাডারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরারি চালাবে লালফৌজ। ভারতীয় ফৌজের ইউনিট ফর্মেশন, মিসাইল সাইট, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের সুলুক সন্ধান পেতেই এই জাহাজ পাঠিয়েছে চিন। জাহাজটির উপর কড়া নিজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা।
[আরও পড়ুন: ‘জানতাম আমায় খুনের ছক হয়েছে’, জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিস্ফোরক ইমরান]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগামী ১০ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ‘কে-৪’ আণবিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত। ওড়িশা উপকূলে হুইলার আইল্যান্ডের (নতুন নাম আবদুল কালাম আইল্যান্ড) কাছে হবে উৎক্ষেপণ। সূত্রের খবর, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য ওই অঞ্চলে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ বা পাইলটদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। বঙ্গোপসাগরে নির্দিষ্ট এলাকায় বিমান চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সেই মিসাইলের গোপন তথ্য জোগাড় করতেই অভিযানে নেমেছে চিনা জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৬’।
বলে রাখা ভাল, ভারতীয় নৌসেনার হাতে রয়েছে পারমাণবিক মিসাইলে সজ্জিত সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত ও আইএনএস চক্র৷ অরিহন্তে (INS Arihant) রয়েছে ‘কে-১৫’ (সাগরিকা) আণবিক মিসাইল৷ প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ অনকেই মনে করছেন ইতিমধ্যে আণবিক বোমা বহনে সক্ষম কে-৪ মিসাইল নৌসেনার হাতে চলে এসেছে৷ সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে পারে৷ সেক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর থেকে পাকিস্তানে ও চিনে হামলা চালাতে সক্ষম এই হাতিয়ার৷
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে নয়াদিল্লির আপত্তি উড়িয়ে হামবানটোটায় হাজির হয় চিনা নজরদারি জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এর ফলে দুই পড়শি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর নয়া মাত্রায় পৌঁছয়। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলে চিনা জাহাজটি। সবমিলিয়ে, ভারতীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোপন রহস্য ভেদ করতেই যে বারবার চিনা জাহাজের হানা তা স্পষ্ট।