সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে জেলায় পুলিশের চর সন্দেহে দুই 'শিক্ষা দূত'কে (সরকারি স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক) খুন করল মাওবাদী বাহিনী। বিজাপুর জেলার প্রত্যন্ত দু'টি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষকদের দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে ফরসেগড় থানা এলাকায়। নিহত এক শিক্ষক আঠাশ বছরের বিনোদ মাদে পিল্লুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কোডাপাদগু গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অন্যদিকে উনত্রিশ বছরের সুরেশ মেট্টাকেও চর সন্দেহে খুন করেছে মাওবাদীরা। তিনি টেকামেটা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামেরই স্কুলে 'শিক্ষা দূত' হিসাবে কাজ করতে। প্রত্যন্ত গ্রাম দু'টি ইন্দ্রবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার মধ্যে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে বিজাপুর-সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার এলাকায় নানা কারণে ২৫ জনকে হত্যা করল মাওবাদীরা।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান।
এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। এছাড়া নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরের।
