নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে বহুবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে ঘুরিয়ে তেমন কথাই এবার সরকারের শরিকদের মুখে। বৃহস্পতিবার সরকারপক্ষের ডাকা সর্বদল বৈঠকে সরকারের দুই প্রধান শরিক দল টিডিপি, জেডিইউ তো বটেই, এলজেপিও দাবি করেছে যে তাদের বলার জন্য বেশি সময় দেওয়া হোক।
দলগুলির এহেন দাবিতে শুধু বিরোধীরাই নয়, সরকারের শরিকরাও যে সংসদ পরিচালনা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শরিকরা যখন সংসদে বলার জন্য বেশি সময়ের দাবি করেছিল সেইসময় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের 'এসব কথা এখানে কেন', 'আলাদা করে বৈঠক করো' বলে টিপ্পনী করায় বিরোধী শিবিরের মুখে হাসির রেখা ফুটিয়েছে। এই তিন শরিকদল নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য বেশি সময়ের দাবি করার পাশাপাশি লোকসভার আসন বন্টন নিয়েও আপত্তির কথা সর্বদলে তুলে ধরেছেন। সরকারের তরফ থেকে এমনভাবে আসন বন্টন করা হয়েছে তাতে তাদের দলীয় সাংসদদের বসার জায়গা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন। অবিলম্বে তাঁদের সাংসদরা যাতে এক জায়গাতে বসতে পারে বলেই দাবি করেছে তিন শরিকই।
আবার জেডিইউ-র পক্ষ থেকে সঞ্জয় ঝা, 'এক দেশ, এক ভোট' নিয়ে যে সংসদীয় যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে তাড়াহুড়ো না করার কথায় ঘুরিয়ে বলেছেন। এর জন্য আরও অনেক সময় লাগবে বলেই দাবি করেছেন তিনি। এলজেপি-র সাংসদ অরুণ ভারতী বৈঠকেই বিহারের জন্য বিশেষ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যাকেজ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে চাপ বাড়াতেই যে শরিক দলের পক্ষ থেকে এই দাবি তোলা হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে যখন শরিকরা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে এনসিপি-র রাজ্যসভার সাংসদ ফৌজিয়া খান, বৈঠকে উপস্থিত সংসসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু-র কাছে "সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে শাসক দলের সাংসদরা কেন হই-হট্টগোল করছিলেন, ক্ষোভ তো বিরোধিদের, শাসক দলের কিসের ক্ষোভ", এই প্রশ্ন তুলে সরকারপক্ষকে বিপাকে ফেলেছেন।
