সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নববধূ করোনায় আক্রান্ত। এই সন্দেহে অকথ্য মারধর করা হল যুবতীকে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ঘটনা ওড়িশার নবরংপুর জেলার। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণী পূজা সরকারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে চলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। স্বামীও বারবার তাঁর কাছ থেকে পণের অর্থ দাবি করে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এখন নতুন একটি কারণ দেখিয়ে মারধর করা হচ্ছে নববধূকে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সন্দেহ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পূজা। যে কারণে দিন-রাত তাঁর উপর চলছে অত্যাচার। পূজা জানান, গত কয়েক দিন ধরে সর্দি-কাশি আর জ্বরে ভুগছেন তিনি। তারপর থেকেই স্বামী ও অন্যান্যদের সন্দেহ হয়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। শরীরে COVID-19 ভাইরাসের জীবাণু ঢুকেছে অনুমান করে তাঁকে জোর করে মাটিতে শুতে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বাড়ির শৌচালয়ও ব্যবহার করতে দিচ্ছে না শ্বশুর-শাশুড়ি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে উমারকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাতিয়ার করোনা ভাইরাস! মধ্যপ্রদেশে সরকার বাঁচাতে শেষ চাল কমল নাথের]
গত ২ মার্চ জয়ন্ত কুমারের সঙ্গে বিয়ে করে নতুন সংসারে পা রাখেন মুর্তুমা গ্রামের যুবতী পূজা। বিয়েতে পণ হিসেবে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, গয়না, মোটরবাইক এবং পাঁচ লক্ষ টাকার সামগ্রী দিয়েছিল পূজার পরিবার। কিন্তু এতেও স্বাদ মেটেনি শ্বশুরবাড়ির। পূজার পরিবারের থেকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করতে শুরু করে তারা। সে দাবি না মেটায় এখন করোনা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পূজা বলেন, “আগে পণ চেয়ে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি অত্যাচার করতেন। কিন্তু সর্দি-কাশি হতেই সকলে ভাবে আমি করোনায় আক্রান্ত।”
নবরংপুর থানার এসপি নীতীন কুসলকর জানান, উমারকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নববধূ। ইতিমধ্যেই জয়ন্ত কুমার এবং তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গার্হস্ত হিংসার জন্য মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে অক্লান্ত লড়াই, দেশের কাছে অনুপ্রেরণা কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘শৈলজা টিচার’]
The post করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে নববধূকে অকথ্য অত্যাচার, গ্রেপ্তার স্বামী-শ্বশুর appeared first on Sangbad Pratidin.
