সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আবহে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নিপা (Nipah) ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই কেরলের (Kerala) কোঝিকোড়ের এক ১২ বছরের বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অতিমারীর সময়ে নিপা সংক্রমণের দেখা পেয়ে উদ্বিগ্ন গবেষকরা। আশঙ্কা, এখনই সতর্ক না হলে নিপা কিন্তু করোনার থেকেও বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই সতর্ক কেরলের বেশ কয়েকটি জেলা ও তামিলনাড়ুও।
কেরলের ওই ১২ বছরের বালক অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানেও চিকিৎসায় কিশোরের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। সে কারণে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শত চেষ্টাতেও সুফল মেলেনি। তার নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় পুণেতে। সেখান থেকেই জানানো হয় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে তার শরীরে।
[আরও পড়ুন: গত ৬-৭ বছরে অকল্পনীয় উন্নতি করেছে দেশ, ‘শিক্ষক পর্বে’র সূচনায় দাবি মোদির]
করোনা পরিস্থিতি কেরলে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে নিপা ভাইরাসের প্রকোপে আতঙ্ক যে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষ করে কোঝিকোড়, মালাপ্পুরাম ও কান্নুরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুও। সেখানে কারও শরীরে নিপার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কিনা সেবিষয়ে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন।
কিন্তু কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে? আসলে এর পিছনে রয়েছে নিপা সংক্রমণের মৃত্যুহার। যেখানে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুহার ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে, সেখানে নিপার সংক্রমণে মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ হয়ে উঠতে পারে। আর এর ফলেই বাড়ছে উদ্বেগ। কেবল মৃত্যুহারই নয়, নিপা ভাইরাস মানুষ থেকে পশু অথবা পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। বাদুড় কিংবা শুয়োরের শরীর থেকে সরাসরি কিংবা তাদের রক্ত, প্রস্রাব বা লালা থেকেও এই ভাইরাস ছড়ায়। একই ভাবে নিপা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে বড় বড় কথা, কাশ্মীরে কী হচ্ছে?’, কেন্দ্রকে তোপ ‘গৃহবন্দি’ Mehbooba Mufti’র]
এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ কী? মূলত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি ও গলাব্যথার মতো প্রাথমিক লক্ষণ থাকে। পরে ঝিমুনি ভাব, শ্বাসকষ্টের মতো আরও নানা উপসর্গ দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে কেরলে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল নিপায় আক্রান্ত হয়ে। পরে ২০১৯ সালেও কোচিতে নিপা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল।