সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেঠো, রসকসহীন বাজেট বক্তৃতাকে সুললিত করে তুলে ধরতে পারতেন এদেশের হাতে গোনা কয়েকজন অর্থমন্ত্রীই। তবে সেই 'ট্র্যাডিশন' বজায় রেখেছেন উত্তরসূরীরাও। প্রতি বাজেট ভাষণেই কোনও না কোনও সাহিত্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়। শনিবার অষ্টমবার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের ভাষণে এবার তেলুগু, তামিল কবিদের কবিতা উদ্ধৃত করে দেশের মাহাত্ম্য বর্ণনা করলেন তিনি। বোঝালেন, সুশাসনের প্রকৃত অর্থ। দাক্ষিণাত্যের দুটি ভাষার সুন্দর উচ্চারণে নির্মলার মুখে কবিতা শুনে প্রশংসা না করে পারলেন না কেউ।
'দেশামান্তে মাট্টি কাদোই, দেশামান্তে মানুষুলোই' - দেশ আর দেশবাসীকে এভাবে নিজের কাব্যে বর্ণনা করেছিলেন খ্যাতনামা তেলুগু কবি-নাট্যকার গুর্জড়া আপ্পা রাও। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, 'দেশ মানে শুধু মাটি নয়, দেশ গঠনের আসল উপাদান মানুষ।' মানুষ অর্থাৎ আমজনতার গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেন নির্মলা সীতারমণ। শনিবার সকাল ঠিক ১১টা থেকে লোকসভায় বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। শুরুতেই তেলেগু কবির এই কবিতা আওড়ান অর্থমন্ত্রী। বুঝিয়ে দেন, দেশের আমজনতার হাতে নগদ অর্থের জোগান দিয়ে মানোন্নয়নই লক্ষ্য কেন্দ্রের। আর বাজেটের মূল ফোকাস সেটাই।
এরপর করছাড়ে ঘোষণা করতে গিয়ে নির্মলার কণ্ঠে শোনা গেল একটি তামিল কবিতা। বললেন, 'ভানোক্কি ভালুম উলাকেল্লাম মান্নাভান/ কোয়ালনোক্কি ভালুং কুটি'। এর বাংলা তর্জমা হল, 'বেঁচে থাকার জন্য প্রাণীরা চায় বৃষ্টি, আর মানুষের চাহিদা হল সুশাসন'। দেশ চালাতে সুষ্ঠু প্রশাসনিক কাজকর্ম কতটা জরুরি, তা বোঝান নির্মলা। তার অন্য়তম বাজেটে করছাড়ের ঘোষণা। অর্থমন্ত্রীর ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের বাজেট ভাষণের মূল নির্যাস তাইই। ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে করছাড়ের ঘোষণা করে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিলেন অর্থমন্ত্রী। বোঝাতে চাইলেন সুশাসনের সংজ্ঞা।
