shono
Advertisement

কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তের ফল, পুজোয় বাঙালির পাতে অধরাই পদ্মার ইলিশ!

চলতি বছরে সেভাবে পদ্মার ইলিশের স্বাদ পায়নি বঙ্গবাসী।
Posted: 02:12 PM Sep 03, 2022Updated: 02:19 PM Sep 03, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: আবার কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হতে চলেছে বাংলা ও বাঙালি। কেন্দ্রীয় সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের ফলে শারদোৎসবে ভোজনরসিক বাঙালির পাতে অধরা থাকবে পদ্মার রুপোলি ইলিশ (Hilsa)। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সফরের সময় যেহেতু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এখনও বিদেশ মন্ত্রক আমন্ত্রণ জানায়নি, তাই পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকে বাঙালির বঞ্চিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।

Advertisement

শারদোৎসব (Durga Puja 2022) চলাকালীন পূর্ব বাংলার ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে রাজ্যে। কিন্তু হাসিনার সফরসূচিতে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও ইলিশের প্রসঙ্গ আসবে না বলেই বাংলাদেশ হাই কমিশন (Bangladesh High Commission) সূত্রে খবর। আবার, মুর্শিদাবাদ ও লাগোয়া রাজশাহী জেলার সীমান্তে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে স্থলবন্দর গড়ে তোলার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুক্রবার চিঠি দেন লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আবেদন জানান অধীর।

[আরও পড়ুন: বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে আগামী সপ্তাহেই দিল্লি সফরে নীতীশ! বৈঠক সোনিয়ার সঙ্গেও]

চলতি বছরে সেভাবে পদ্মার ইলিশের স্বাদ পায়নি বঙ্গবাসী। মনে করা হচ্ছিল, হাসিনার সফরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানাবে দিল্লি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি হলে অবধারিতভাবে ইলিশের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসত। কিন্তু এ যাত্রায় তা হওয়ার উপায় নেই। তাই শারদোৎসবে বঙ্গবাসীকে পদ্মার রুপোলি ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ হাই কমিশন সূত্রে খবর, চলতি বছরে ওপার বাংলায় ইলিশের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী সুকৌশলে ইলিশ ভারতে ইলিশ রপ্তানির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাবেন বলেই মনে করছে হাই কমিশনের একাংশ।

হাসিনার সফরের আগে মুর্শিদাবাদ ও রাজশাহীর মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ সহজ করে তোলার আবেদন জানিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি দেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি লেখেন, দুই দেশের দুই জেলাতেই অসংখ্য পরিবারের আত্মীয়রা বসবাস করেন। কিন্তু সীমান্তে যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় অনৈতিক পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে দু’দেশেরই চোরাচালানকারীরা সীমান্তে সক্রিয়। তাঁরাই বেকার যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে চোরাচালানের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করে বলে অভিযোগ। তাই এখানে স্থলবন্দর গড়ে তোলা হলে অনৈতিক কাজকর্ম আটকানো সম্ভব হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবি করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে জোর করে বিমান ওড়ানোর দাবি! মনোজ তিওয়ারি-সহ ২ BJP সাংসদের বিরুদ্ধে FIR ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement