সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে বন্দুক হাতে দাপাদাপি মহিলার! সিএনজি গ্যাস ভরার সময় গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলতেই সিএনজি স্টেশনের কর্মীর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি। সিএনজি স্টেশনে থাকা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে পুরো ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের হারদইয়ের এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অভিযোগে জমা পড়তেই লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, একটি পরিবার তাঁদের গাড়িতে গ্যাস ভরাতে ওই সিএনজি স্টেশনে এসেছিল। সিএনজি স্টেশনের কর্মী রজনীশ কুমার সুরক্ষাবিধি মেনে গাড়িতে থাকা সকলকে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কেননা গাড়িতে লোক থাকা অবস্থায় গ্যাস ভরার সময় কোনও বিপত্তি ঘটলে প্রাণহানি বা জখম হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এদিকে রজনীশের এই অনুরোধ মানতে চাননি গাড়িতে থাকা ব্যাক্তিরা। এরপরই গাড়ি থেকে এক জন বেরিয়ে রজনীশের ওপর চড়াও হন। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম এহসান খান। এদিকে নিজেকে বাঁচাতে এহসানকে কনুই দিয়ে ঠেলা দেন রজনীশ।
এরপরেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এহসানের মেয়ে আরিবা। রজনীশেকে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরই মধ্যে গাড়ির কাছে গিয়ে সেখান থেকে একটি বন্দুক নিয়ে আসেন আরিবা। এরপরই রজনীশের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে বলতে থাকেন, ‘ইতনি গোলিয়া মারুঙ্গি কি ঘরওয়ালে পহেচান নেহি পায়েগা।’ যদিও হুমকিতেও ভয় পেতে দেখা যায়নি রজনীশকে। এরই মধ্যে আরিবার মা তাঁকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এরপরই তিনজনকেই গাড়ি নিয়ে ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই স্থানে। এই ঘটনার পর রাতেই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রজনীশ। এরপরই ওই তিনজনকে আটক করার পাশাপাশি এহসানের নামে থাকা বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে এই ঘটনার পর যোগীরাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
