সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মাটিতে চরম আঘাত হানতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি পাকিস্তান। চিনা ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র, শত্রুপক্ষের তরফে অজস্র পন্থা অবলম্বন করা হলেও প্রতিবার তা ব্যর্থ হয়েছে ভারতের দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে দেশের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জয়গান শোনা গেল তিন বাহিনীর আধিকারিকদের গলায়। শক্তিশালী প্রতিরক্ষার পাশাপাশি পাক নিরাপত্তা ভেদ করে পাকিস্তানের ১৬৫ কিমি ভিতরে ঢুকে হামলা ভারত। ছবি-সহ প্রকাশ্যে এল সেই তথ্য।
রবিবারের পর সোমবার পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২.৩০ নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন দেশের তিন সেনার ডিজিএমও। সেখানে এয়ার মার্সাল ভারতী বলেন, দুই দেশের সামরিক উত্তেজনার সময় পাকিস্তান লাগাতার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যার বেশিরভাগই ধ্বংস করেছে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাক হামলার সামনে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিল আমাদের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একইসঙ্গে জানান, একটি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, সেটি পিএল ১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্র চিনে তৈরি। পাক সেনা তা হামলার সময় ব্যবহার করেছিল। এমন আরও একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের ছবিও তুলে ধরা হয় সাংবাদিক বৈঠকে।
এর পাশাপাশি ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, আমাদের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার সামনে কার্যত অসহায় অবস্থা হয় পাকিস্তানের। আরও একবার স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ৭ মে শুধুমাত্র জঙ্গিদের ডেরায় হামলা চালানো হয়েছে। দুর্ভাগ্য পাক সেনা সেই জঙ্গিদের হয়ে ব্যাট ধরছে। আমরা তার জবাব দিয়েছি। আমাদের কোনও সেনাঘাঁটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোনও না কোনও স্তরে যাতে হামলা প্রতিহত করা যায়, সেই ভাবেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে দাঁত ফোটাতে পারেনি শত্রুপক্ষ। এমনভাবে বহুস্তরীয় সুরক্ষাবলয় তৈরি ভারতের যাতে ওরা আটকাবেই।
গতকালকের মতোই এদিনও একাধিক ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় কীভাবে পাকিস্তান হামলা চালানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ১৬৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। হামলাস্থলে তালিকাও তুলে ধরা হয় সেনার তরফে, যেখানে দেখা গিয়েছে করাচির মিলির বায়ুসেনা ঘাঁটির পাশাপাশি চাকলালা, রফিক, রহিম খান বায়ুসেনা ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
