সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৪ জুন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর প্রথমবার পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক হতে চলেছে বুধবার। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময় বারবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেও এই প্রথম মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসতে চলেছেন মোদি।
পাকিস্তানের হামলায় ধ্বংস হয়েছে ভারতীয় বিমান। সম্প্রতি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা স্বীকার করেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। তাঁর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের ঝড় উঠল দেশে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি কেন দেশকে না জানিয়ে কেন বিদেশের সংবাদমাধ্যমকে একথা জানানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। বিরোধীরা অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনেরও দাবি জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, সংঘর্ষবিরতির পর পাকিস্তান দাবি ছিল, অপারেশন সিঁদুরের পালটা রাফালে-সহ ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ভেঙেছে তারা। সেই দাবি নিয়ে, দেশের অন্দরে বিতর্ক মাথাচাড়া দিলে সরাসরি এই ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ভারতের তরফে। যদিও সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অঙ্গ। এহেন পরিস্থিতির মাঝে শীর্ষ সেনাকর্তার দাবি স্বাভাবিকভাবেই দেশে বিতর্ক তৈরি করেছে। চৌহানের মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনীর বীরত্বকে কুর্নিস জানিয়েছেন খাড়গে। পাশাপাশি লিখেছেন, ‘এই বিষয়ে কৌশলগত পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কার্গিল পর্যালোচনা কমিটির মতো একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির পর্যালোচনার দাবি তুলেছেন তিনি।’
