সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর তিনদিন। সংসদে অব্যাহত সাসপেনশনের ধারা। বুধবারও লোকসভা (Loksabha) থেকে বহিষ্কৃত হলেন তিন সাংসদ। বুধবার শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন সি থমাস ও এ এম আরিফ। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন তাঁরা। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ ও প্ল্যাকার্ড দেখানোর ‘অপরাধে’ গোটা অধিবেশনের জন্যই লোকসভা থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হলেন ১৪৪ জন বিরোধী সাংসদ।
সোম ও মঙ্গলবার একসঙ্গে বিশাল সংখ্যক সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন সংসদের দুই কক্ষ থেকে। তৃণমূল, কংগ্রেস- সহ সমস্ত বিরোধী দলেরই অধিকাংশ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবারই সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছিল বহিষ্কৃত সাংসদদের সংখ্যা। সেই তালিকায় বুধবার যোগ হয়েছে আরও দুজনের নাম। চলতি অধিবেশনে কেবলমাত্র লোকসভা থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন ৯৭ সাংসদ।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগের তামিলনাড়ুতে মৃত বেড়ে ১০, বানভাসি জেলাগুলিতে বন্ধ স্কুল-কলেজ]
সাসপেন্ড হওয়ার পর আরিফ জানান, “সংসদে নিরাপত্তায় গাফিলতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছি। প্রতিবাদও জানিয়েছি। তাই আমাদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, দুই সাংসদকে সাসপেন্ড করার পরই লোকসভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংশোধিত ন্যায় সংহিতা নিয়ে বক্তৃতা দেন তিনি। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়, নিরাপত্তার গলদ নিয়ে কি মুখ খুলবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সাসপেন্ড হয়েছেন শশী থারুর, ফারুক আবদুল্লা, ডিম্পল যাদব-সহ একঝাঁক সাংসদ। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “বিরোধী শূন্য লোকসভা তৈরি করতে চাইছে ওরা। রাজ্যসভাতেও তাই করবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু সংবাদ লিখে ফেলতে হবে মনে হচ্ছে।” দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই মত বিরোধীদের।