নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকের আগেই সৌজন্যের আবহ। জন্মদিন উপলক্ষে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবারই ৫৩ বছর পেরিয়ে ৫৪ বছরে পা রেখেছেন রাজীব-তনয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ টুইট করে রাহুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা, রাহুল গান্ধীজি। আপনার সুস্বাস্থ্যের কামনা করি। সামনের বছর দুর্দান্ত কাটুক।’ আগামী ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠক। তার আগে মমতার এই শুভেচ্ছাবার্তাকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
বস্তুত, পাটনার বিরোধী বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) উদ্যোগে পটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলি আগামী শুক্রবার যে বৈঠকে বসতে চলেছে সেখানে তৃণমূল নেত্রী আলোচনার জন্য কী কী বিষয় উত্থাপন করেন, সে দিকেই চোখ রয়েছে সকলের। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে যাতে আর বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারে তার জন্য মমতা কি ফর্মুলা দেবেন এবং বিরোধীরা কীভাবে একজোট হয়ে চলবেন, সেই রূপরেখা তৈরির জন্য কীভাবে এগনোর কথা বলবেন, সেই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন, ‘চিনা প্রাচীর’ ভেঙে ভারতের হয়ে দরবার UNGA সভাপতির]
সূত্রের খবর, বৈঠকে যে সমস্ত বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, তাতে তৃণমূলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বৈঠক নীতীশের তরফ থেকে ডাকা হলেও বিরোধীদের একজোট করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আম আদমি পার্টি (AAP), সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party), কে সি আরের দল বিআরএস, যারা কংগ্রেসের শরিক দল নয়, তারা তৃণমূলের সঙ্গেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আর সেই প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী শিবিরের সলতে পাকানোর ঘটনাপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন তৃণমূল নেত্রী। জানা গিয়েছে, বৈঠকে যে সমস্ত বিষয়ে বিরোধীরা একমত, সেই বিষয়গুলিকেই আলোচনার শীর্ষে রাখা হবে। যে বিষয়গুলি নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে তা নিয়ে প্রথম বৈঠকে কোনও আলোচনা হবে না। বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতের মতো বিষয়গুলি থাকবে বলেই ঠিক হয়েছে।
পাশাপাশি, বৈঠকে যে বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে তাতে কেন্দ্র সরকার বিরোধী শাসিত কোনও রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে সবাইকে একজাট হয়ে তার প্রতিবাদ করতে হবে, সংসদে বিরোধীদের একজোট হয়ে চলতে হবে, বৈঠকে যে সমস্ত ইস্যুকে সামনে রাখা হবে তাতে বিরোধীদের এক সুরে কথা বলতে হবে এবং আরেকটি বিষয় হল প্রথম বৈঠকে যেভাবে দেলের শীর্ষ নেতারা হাজির থাকবেন, সেই একভাবে পরবর্তীকালের বৈঠকগুলিতেও তাদেরই হাজির থাকতে হবে। পরবর্তী বৈঠক সংসদের বাদল অধিবেশনের পরে চেন্নাইতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।