সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ছেড়ে গুজরাটে পাড়ি দিচ্ছে টাটার নয়া প্রকল্প। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মহারাষ্ট্রে ফের রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু। সম্প্রতি একের পর এক প্রকল্প হাতছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের। স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে ঠাকরে গোষ্ঠী। তাঁদের দাবি, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভার শিল্পমন্ত্রী টাটা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়েছিল। কিন্তু ফড়ণবিশ-শিন্ডের সরকার সেই চুক্তিকে ধরে রাখতে পারলেন না। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ফড়ণবিশ-শিন্ডের সরকার। তাঁদের দাবি, চুক্তি নিয়ে টাটার সঙ্গে প্রাক্তন সরকার কোনও সরকারি আলোচনা হয়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই শিল্প ইস্যুতে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। শুধু টাটার এয়ারবাস প্রকল্প নয়, গত কয়েকদিন মহারাষ্ট্র ছেড়েছে বেদান্ত-ফক্সকন, বাল্ক ড্রাগ পার্ক, মেডিকেল ডিভাইস পার্স প্রকল্পও। আর সবক’টি প্রকল্পের গন্তব্য হয়েছে গুজরাট। ভোটমুখী বিজেপি রাজ্যে একের পর এক শিল্প চলে যাওয়ায় বাণিজ্য মহলে জোর গুঞ্জন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি আসরে নেমে টাটা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও টাটা এয়ার বাস প্রকল্প মহারাষ্ট্রের বদলে গুজরাটে চলে যাচ্ছে। অথচ দুই রাজ্যেই বিজেপির সরকার। নাগপুরের বদলে গুজরাটে ভাদোদরায় চালু হতে চলেছে টাটা এয়ার বাস প্রকল্প।
[আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, মানুষের কান্না শুনুন, গণতন্ত্রকে বাঁচান’, বিচারব্যবস্থার কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর]
টাটা-এয়ারবাস প্রকল্প হাতছাড়া হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে বিঁধেছেন আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেন, “এই সরকারের প্রতি শিল্পপতিদের কোনও আস্থা নেই।” পালটা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী উদয় সামন্ত। তিনি জানিয়েছেন, ওঁরা হয়তো ব্যক্তিগতভাবে একাধিক বৈঠক করেছেন। সরকারিভাবে কিছু হলে তো তার নথি থাকত। কিন্তু টাটা আর মহারাষ্ট্র সরকারের মধ্যে বৈঠকের একটা নথিও নেই দপ্তরে।
যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই গুজরাটের চার শহরে রেইকি সেরে ছিল টাটা কর্তৃপক্ষ। সেখানকার সরকারের সঙ্গে কথাবার্তাও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিন্তু মহারাষ্ট্রে আগাড়ি জোট সরকারই ক্ষমতাসীন। ফলে কার দোষে মহারাষ্ট্রর হাতছাড়া হল প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার শিল্প বিনিয়োগ, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।