সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৭ মে থেকে টানা ৪ দিন ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন, কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।
এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে চিদম্বরমের সেই খোলা চিঠি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে তাঁর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, '১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, 'এটা যুদ্ধের সময় নয়।' তাঁর সেই বিবৃতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল ভারত। সেই নীতি মাথায় রেখেই ভারত এবারও সংযম দেখিয়েছে।' পাশাপাশি ৭ মের পাকিস্তানে শুধুমাত্র সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর লক্ষ্য করে ভারতের হামলার প্রসঙ্গ তুলে চিদম্বরম জানান, 'ওই হামলা ছিল ন্যায় বিচার। তবে সন্ত্রাসের দেশ পাকিস্তান পালটা ভারতের উপর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, বিমান হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করেছে। যার পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও।'
তবে একইসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, 'ভারতের পদক্ষেপ সত্ত্বেও এটা বিশ্বাস করা ভুল হবে যে প্রতিবেশী দেশে সন্ত্রাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হয়েছে। যতদিন পাক সেনা ও আইএসআই সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে ততদিন পাকিস্তান ভারতের জন্য হুমকি হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে চিদম্বরম আরও জানান, ওনার নেতৃত্বে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে ভারতে। যা হল উরি, পুলওয়ামা ও পহেলগাঁও। প্রতিবারই পাকিস্তানকে পালটা জবাব দিয়েছে ভারত। এবারও সরকার সমস্ত তথ্য প্রকাশ করে স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছে। মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দুই মহিলা সামরিক আধিকারিকের অন্তর্ভুক্তি প্রশংসার দাবি রাখে।'
এরপর যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে বলেন, 'বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে। পাকিস্তান যদি উত্তেজনা বাড়ায় তাহলে ওরা বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়বে। ভারতও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যদি যুদ্ধের প্রয়োজন হয় তাহলে ভারতও প্রস্তুত। পাকিস্তানের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে এই সমস্যা এখানে শেষ করা, সন্ত্রাসবাদে লাগাম টানা এবং শান্তির পথে হাঁটা। কিন্তু এতকিছুর পর যে প্রশ্ন উঠছে তা হল পাকিস্তানে ক্ষমতা কার হাতে? প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফয়ের দুর্বল সরকার আসলে সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের হাতের পুতুল।'
