সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু বৈসরন নয়। জঙ্গিদের নজরে ছিল পহেলগাঁওয়ের আরও তিন জায়গা। এমনকী হামলার এক সপ্তাহ আগে ওই জায়গাগুলি রেইকিও করে তারা। এনআইএ তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, বৈসরন ছাড়াও অরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি এবং পহেলগাঁওয়ের স্থানীয় একটি পার্কে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা।
কিন্তু কেন বৈসরন উপত্যকাতেই হামলা চালাল জঙ্গিরা? সূত্রের খবর, বাকি তিন জায়গার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট জোরদার ছিল। ফলে সেখানে তাদের পক্ষে হামলা চালানো কার্যত অসম্ভব ছিল। তাই শেষমেষ বৈসরন উপত্যকাকেই বেছে নেয় তারা। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হামলার দিন জঙ্গিরা ‘আলট্রা-স্টেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ পরিচালিত ডিভাইস ব্যবহার করেছিল। সেটির মাধ্যমে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। কিন্তু কী এই ‘আলট্রা-স্টেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’? এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সিম কার্ড ব্যবহার না করেই স্বল্প-পরিসরে নিরাপদে যোগাযোগ এবং বার্তা আদান-প্রদান করা যায়। হামলার দিন বৈসরনে ‘আলট্রা-স্টেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’-এর দুটি সিগন্যালের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর 'অ্যালপাইন কোয়েস্ট' নামেও একটি অ্যাপ চর্চায় উঠে এসেছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জঙ্গিদের পথ দেখিয়েছিল এই অফলাইন ট্র্যাকিং অ্য়াপ। হামলাকারীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেও সাহায্য করেছিল অ্য়াপটি।
সূত্রের খবর, এনআইএ ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ জন ‘ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার’কে চিহ্নিত করেছে। মনে করা হচ্ছে, এরাই হামলাকারীদের সাহায্য করেছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাকিরা গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। প্রথমে হামলার দায় নিলেও পরে তা অস্বীকার করে লস্করের ‘ছায়া’ দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
