সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরই পালটা একের পর আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু সব হামলার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৬০০-রও বেশি পাক ড্রোন। শনিবার গুজরাটের গান্ধীনগরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানাল বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল অভিষেক পাঠক।
তিনি বলেন, “আপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর লাগাতার ড্রোন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয়। পাক ড্রোনগুলি আমাদের কোনও ক্ষতিই করতে পারেনি।” একইসঙ্গে পাঠক বলেন, “৬০০টি ড্রোনের মধ্যে প্রায় ২০০টি গুজরাটে প্রবেশ করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত শান্তির পক্ষে। কিন্তু পাকিস্তান কার্যত যুদ্ধের মেজাজে ছিল। অপারেশন সিঁদুরের পর গুজরাট সীমান্তে তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রচুর ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছিল।” এরপরই তিনি বিএসএফের মহিলা আধিকারিকদের প্রশংসা করে বলেন, “নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আমাদের ৮০০-রও বেশি মহিলা জওয়ান মোতায়েন ছিলেন। কঠিন সময়ে তাঁরা শত্রুর চোখে চোখ রেখে যেভাবে লড়াই করেছেন, তা প্রশংসনীয়।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।
