নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সব ঠিক থাকলে ২৫ নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। তার পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। সেদিন ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপিত হবে সংসদেই। সংবিধান সদন তথা পুরানো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদকে নিয়ে যৌথ অধিবেশন বসবে।
সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর, ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে শীতকালীন অধিবেশন। হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই সংসদের প্রথম অধিবেশন। আবার এই অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই খাস রাজধানী দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। ফলে এই অধিবেশন রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এই অধিবেশনে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত বিল নিয়ে আলোচনা হবে। সরকারি সূত্রের খবর, শীতকালীন অধিবেশনেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করতে পারে সরকার। শীতকালীন অধিবেশনেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪-ও পাশ করিয়ে নিতে চাইছে তারা। বিলটি বর্তমানে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে রয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিলের উপর চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ নিয়ে যে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে নিত্যদিন বিবাদ হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কমিটি কী রিপোর্ট দেয়, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেন্দ্র বিলটি পাশ করায় কিনা সেদিকে নজর থাকবে। এই ওয়াকফ ইস্যুতে ফের সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশনে সবচেয়ে বেশি নজর যেদিকে থাকবে সেটা হল এক দেশ-এক নির্বাচন বিল। মোদি সরকার আদৌ এই অধিবেশনে এই বিল পেশ করে কিনা। করলেও সেটার রূপরেখা কেমন হবে, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিলটি পেশ করলে এনডিএ'র শরিক দল এবং বিরোধীদের ভূমিকা কী হয়, সেটাও দেখার। এই মুহূর্তে মোদি সরকারের হাতে এক দেশ-এক আইন পাশ করানোর মতো সংখ্যাবল নেই।