সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও অবস্থাতেই ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা যাবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নেও না। মণিপুরের একটি মামলায় নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীকে স্মরণ করাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত বলল, আইনের শাসন কার্যকর করার নামে সামান্য সময়ের জন্য হলেও কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করতে পারেন না নিরাপত্তাকর্মীরা।
শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করেছে মণিপুরের একটি মামলায়। অভিযোগ ছিল, মাদক মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁকে গ্রেপ্তারির নথিপত্র সরবরাহ করা হয়নি। কী কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করা হয়নি। সেই অভিযোগে নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ নিম্ন আদালতগুলিতেও তিনি সুবিচার পাননি। এরপরই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন হাজারের নিচে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেসও]
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অজয় রস্তোগি এবং সিটি রবি কুমারের (CT Ravi Kumar) ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাতেই জানিয়েছে, ব্যক্তি স্বাধীনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোনও অবস্থাতেই এটা হরণ করা যায় না। সাময়িকভাবেও না। কোনও অভিযুক্তকে আটক বা গ্রেপ্তার করলে তাঁকে নথিপত্র-সহ গ্রেপ্তারির কারণ জানাতে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধ্য থাকেন। তবে একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রয়োগ অবশ্য অনেক সময় পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
[আরও পড়ুন: কাঁটায় ভরা অক্ষতা-ঋষির প্রেমকাহিনি, জামাই হিসেবে সুনাককে মানতে দ্বিধা ছিল নারায়ণমূর্তির!]
এ বিষয়ে সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। ওই অনুচ্ছেদে বলা আছে, নিরাপত্তারক্ষীরা কাউকে আটক করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তার কারণ জানাতে হবে। এবং আটক সংক্রান্ত নথিপত্রও তৎক্ষণাৎ তাঁকে সরবরাহ করতে হবে। যাতে ওই আটক ব্যক্তি নিজের মতো করে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, প্রশাসনের সবসময় এই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত অধিকারের ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত। এই মামলায় মামলাকারীকে তাঁর গ্রেপ্তারির নথি দেওয়া হয়নি দেখে আশ্চর্য শীর্ষ আদালতও।
