সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশভাগের যন্ত্রণাকে কোনও ভাবেই ভোলা সম্ভব নয়। শনিবার একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ঘোষণা করলেন ১৪ আগস্ট ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ (Partition Horrors Remembrance Day) হিসেবে পালন করা হবে। এদিন টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন তিনি।
ঠিক কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? তিনি টুইটারে লেখেন, ”দেশভাগের যন্ত্রণাকে কখনও ভোলা যাবে না। আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাইবোনকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। অর্থহীন ঘৃণা ও হিংসার কারণে কতজনকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। সেই সব মানুষদের সংগ্রাম ও বলিদানকে স্মরণে রেখে ১৪ আগস্ট বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করা হবে।” আরেকটি টুইটে মোদি জানান, সামাজিক ভেদাভেদ দূর করে দেশবাসীকে একসুরে বেঁধে রাখতে সাহায্য করবে এই দিনটি।
কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, এই দিনটি নিয়ে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah)। তিনি লিখেছেন, ”দেশভাগের সময় হিংসা ও ঘৃণার ছায়ায় আমাদের অসংখ্য ভাইবোনেদের ত্যাগ, সংঘর্ষ ও বলিদানকে স্মরণে রেখে প্রধানমন্ত্রী ১৪ আগস্টকে দিবস হিসেবে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: Uttar Pradesh encounter: যোগীরাজ্যে চলছে ‘অপারেশন ল্যাংড়া’, চার বছরে এনকাউন্টার ৮৪৭২টি]
দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে এক অনিবার্য ক্ষতর মতো এসে পড়ে দেশভাগ প্রসঙ্গ। অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা সম্ভবত এর দ্বিগুণেরও বেশি। সেই সঙ্গে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ ও অপহরণের কবলেও পড়তে হয়েছিল। দেশ ছাড়তে হয়েছিল দেড় কোটি হিন্দু, শিখ ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষকে। পায়ে হেঁটে কিংবা ভিড় রেলগাড়িতে নিজের ঘরভিটে ছেড়ে একেবারে ভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাঁদের সংগ্রাম ঘিরে আজও নাড়া দিয়ে যায় ইতিহাস সচেতন সংবেদী মানুষকে। এদেশের বহু সিনেমা-সাহিত্যে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে ঠাঁইনাড়া হয়ে পড়া মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনি। তবে এতদিন পরে সরকারের এই ঘোষণাকে ঘিরে জল্পনাও তৈরি হয়েছে।