সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ন সংস্থানের জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী গর্ভবতী (Pregnant)। তাই সাবধানেই তাঁকে নিয়ে কাজের জন্য অন্য জেলায় গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেখানে যে এমন রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। অথচ বাস্তবে ঘটল তাই। রাতের অন্ধকারে রেললাইনের ধারে গণধর্ষণের (GangRape) শিকার হলেন পরিযায়ী শ্রমিক। শুধু তাই নয়, এক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এমন কুকীর্তি ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তারপর মারধর করে স্বামীর পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকশো টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) গুণ্টুরের কাছে এই ঘটনার কথা শুনে শিউড়ে উঠছেন সকলে। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কৃষ্ণা (Krishna) জেলার রেপালে স্টেশনে পৌঁছন ওই দম্পতি। রাতে যাত্রার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশনে। খানিক পর ব্যক্তিকে ডেকে তুলে কয়েকজন জানতে চান, ঘড়িতে কটা বাজে। তাঁর হাতে ঘড়ি না থাকায় সময় বলতে পারেননি তিনি। ঠিক তখনই ঘটে বিপদ। ওই ব্যক্তিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উপর। এরপর অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় রেললাইনের ধারে। পরপর চলে গণধর্ষণ। এমনকী এই কাজে এক শিশুকেও তারা শামিল করে বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে বেদম প্রহারের মুখে পড়েন স্বামী। তাঁকে মারধর করে পকেট থেকে ৭৫০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: পাটশিল্পের দুরবস্থা নিয়ে অর্জুনের লাগাতার ‘বিদ্রোহ’, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক বস্ত্রমন্ত্রকের]
স্টেশন চত্বরে গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ সেখান পৌঁছতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। স্নিফার ডগ (Sniffer Dog) নামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যেখানে তারা জামাকাপড় বদল করে গা ঢাকা দিয়েছিল, সেখান থেকে সূত্র পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মূক-বধির নাবালিকাকে লাগাতার যৌন নির্যাতন! মিনাখাঁর ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত যুবক]
জেলা পুলিশ সুপার বকুল জিন্দালের বক্তব্য, “আমরা সূত্র পেয়ে জানতে পারি যে দুষ্কৃতীরা সকলেই স্থানীয়। একবেলা তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পেরেছিল। বিকেলেই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনাচক্রে বাচ্চাটি এদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে আইনি জটিলতা হতে পারে।” ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা অন্ধ্রেই। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ভি পদ্মা এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।