সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। সোমবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের আবহার শহরে। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। যাদের রাডারেই রয়েছে বলিউড অভিনেতা সলমন খান।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জয় ভার্মা। পাঞ্জাবে তাঁর পোশাকের ব্যবসা ছিল। সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ সঞ্জয় তাঁর দোকানের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় সঞ্জয়কে উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনজন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসেছিল। তাদের প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক। সঞ্জয় গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পর তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, পালানোর সময় তাঁদের বাইকটি পিছলে যায়। ফলে তারা ভয় দেখিয়ে এক পথচারীর বাইক ছিনিয়ে নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়। সিসিটিভিতেও গোটা ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
সঞ্জয় হত্যাকাণ্ডের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য আরজু বিষ্ণোই। এই মর্মে সমাজমাধ্যমে তিনি একটি পোস্টও করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আততায়ীদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটিকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। রাজ্যে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সুনীল জখর বলেন, "এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করে দিল যে পাঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে এর জবাবদিহি করতেই হবে।"
