সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি থেকে হঠাৎ লকডাউন, দেশের অর্থনীতি থেকে চিনা আগ্রাসন, একের পর এক ইস্যুতে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর সমালোচনায় জর্জরিত বিজেপি নেতারা। বুধবার নাম না করেই ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এদিন টুইটারে রাহুল গান্ধী বিশ্বের ৭ জন স্বৈরাচারী (Dictator) শাসকের নাম পোস্ট করেন। কাকতালীয়ভাবে তাঁদের সকলের নামের প্রথম অক্ষর ‘M’। এই সাতজন হলেন মার্কোস-মুসোলিনি-মিলোসেভিক-মুবারক-মোবতু-মুশারফ-মিকম্বেরোর। সঙ্গে রাহুল লিখেছেন, কেন অধিকাংশ স্বৈরাচারী শাসকের নামের আদ্যাক্ষর M হয়? বলাইবাহুল্য, নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: লালকেল্লা দখলের ঘটনায় অভিযুক্ত দীপ সিধুর খোঁজ দিলেই নগদ পুরস্কার: দিল্লি পুলিশ]
কারা এই স্বৈরাচারী শাসকগণ? মার্কোস ছিলে্ন ফিলিপিন্সের শাসক। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত সেখানে তিনি রাজত্ব করেছেন। তাঁর জমানায় চূড়ান্তভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে দেশবাসীর মানবিক অধিকার। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল আন্তর্জাতিক মহলও। ইতালির মুসোলিনির কথা সকলেরই জানা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বিশ্বের সবচেয়ে স্বৈরাচারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। এর পরেই রাহুল লিখেছেন মিলোসেভিকের কথা। সার্বিয়ার একনায়ক ছিলেন তিনি। মিশরের হোসনি মুবারকের কীর্তিও কারওর অজানা নয়।
কঙ্গো ক্রাইসিসের সময় মোবতু ছিলেন জাইরের প্রেসিডেন্ট। তাঁর রাজত্বকালে দেশবাসীর স্বাধীনভাবে চলাফেরারও সুযোগ ছিল না। এই একনায়কের কথাও তুলে এনেছেন রাহুল। টুইটে উল্লেখ করেছেন মিকম্বেরোর কথাও। ১৯৬৬-১৯৭৬ পর্যন্ত তিনি বুরুণ্ডির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেনাকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। স্বাধীন বুরুণ্ডির প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন একনায়ক মিকম্বেরো।
[আরও পড়ুন: ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভা থেকে তিন আপ সাংসদকে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান]
এদিন এই সাতজনের নামের মাঝে অদ্ভুত মিল খুঁজে বের করেছেন রাহুল। প্রত্যেকেরই নামের আদ্যক্ষর ‘M’। নাম না করেই সুচারুভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একই পঙক্তিতে বসিয়ে দিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা। তাঁর এই তীব্র শ্লেষের তারিফ করেছেন বহু নেটিজেনই।