সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে গেল সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়ির বেশ কয়েকটি বগি। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জসিডি-ঝাঝা রুটে।
রেল সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিহারের জামুইয়ে বড়ুয়া নদীর রেলব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মালগাড়ির ২০টি বগির মধ্যে ১৯টিই বেলাইন হয়। তার মধ্যে ১০টি ছিটকে পড়ে নদীতে। দুটি বগিকে বিপজ্জনকভাবে ঝুলতে দেখা যায়। প্রতিটি বগিই সিমেন্টে ভর্তি ছিল। ফলে বিপুল আর্থিক আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও যার পরিমাণ আন্দাজ করা যায়নি। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আরপিএফ এবং রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ও লাইন থেকে ওই মালগাড়িটিকে সরিয়ে মেরামতের কাজ। তবে সেই কাজ এখনও চলছে। ফলে পূর্ব রেলের জসিডি-ঝাঝা রুটে আপ ও ডাউন লাইনে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত ট্রেন চলাচল। দেরিতে চলছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও। যার মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও রয়েছে। ঠিক কেন দুর্ঘটনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলের তরফে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় রেল মানেই কি দুর্ঘটনা? ২০২৩ সালে বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, গত বছরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের মতো একাধিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। চলতি বছরও একাধিক বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। এ ছাড়া ছোটখাটো দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা। যা নিয়ে বিরোধীরা বিঁধছে সরকারকে। আসলে ভারতে প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র কয়েক হাজার কিলোমিটার ট্র্যাক কবচের আওতায় এসেছে। ২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই কবচ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিতি ঘটে। তখন শুধুমাত্র লোকোতেই অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর কথা বলা হয়। ২০২০-র পর নতুন নামকরণ করা হয় ‘কবচ’। রেলে এই কবচ ব্যবস্থা চালুর গড়িমসিকেই বিরোধীরা দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দেখাতে চাইছেন।
