সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেরা সাচা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং তো জেলে। ধর্ষণের দোষে তার ২০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। বাবার ভণ্ডামি ফাঁস হয়ে যেতেই একাধাক্কায় কমে গিয়েছে ডেরার ভক্ত সংখ্যাও। এই অবস্থায় ভক্তদের ধরে রাখতে অভিনব কায়দা গ্রহণ করেছে সংগঠনটি।
[দূরপাল্লার যাত্রায় কতক্ষণ ঘুমাবেন, সময় বেঁধে দিল রেল]
ডেরা ভক্তদের সংখ্যা অটুট রাখতে পুরোভাগে নামানো হয়েছে ডেরার আইটি বিভাগকে। ওই বিভাগের কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘বাবা’র প্রতি ভক্তদের আগ্রহ, ভক্তি অটুট রাখতে চাইছেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবকে ব্যবহার করে বাবার মহিমা প্রচারে নেমে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে, ‘গুরমিত রাম রহিম সিংজি ইনসান একজন প্রকৃত সন্ত ও সমাজসেবী। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।’
DSS’s chairperson .@VipassanaInsan appeals to the sangat to stay calm & maintain peace.#AppealForPeace pic.twitter.com/HMZo3m9lOj
— IT Wing (@ITwingDSS) August 26, 2017
এছাড়াও রাম রহিমের কিছু ভাঁওতাবাজির ভিডিও-ও ছড়ানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে। বাবাজির কিছু মামুলি ম্যাজিক ট্রিককে অলৌকিক কাণ্ড বলে ছড়ানো হচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ মারফত। কোথাও কোথাও মেসেজের সাহায্যের প্ররোচনাও দেওয়া হচ্ছে। মিডিয়া ট্রায়াল করে গুরমিতকে জেলে পাঠিয়েছে বলেও প্রচার করছেন বাবার অন্ধভক্তরা। ডেরার আইটি সেলের দাবি, সিরসায় ডেরার ভিতরে বাবার কোনও নিজস্ব পৃথক ‘গুহা’ ছিল না। মেয়েদের আব্রু রক্ষায় বাবা সর্বদা সচেতন ছিলেন। যদিও এই জোরদার প্রচারে যে কাজের কাজ খুব একটা হচ্ছে না, সেটাও সত্যি। একসময় গুরমিতের অন্ধভক্ত দর্শন লাল নামের এক ব্যক্তি বলছেন, ‘অনুগামীরাই একজন সন্তের আসল শক্তি। আর তিনি আমাদেরই ধোঁকা দিয়েছেন। জীবনে কখনই রাম রহিমকে গুরু বলে মানব না।’
[জাপান, জার্মানিকে ছাপিয়ে অর্থনীতিতে তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ায় এগিয়ে ভারতই]
The post রাম রহিম জেলে, কিন্তু অভিনব কায়দায় ‘বাবা’র মহিমা প্রচারে ব্যস্ত ডেরা appeared first on Sangbad Pratidin.