সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: "কিঁউ কী সাস ভি কভি বহু থি।" এই শিরোনামের মেগা সিরিয়াল ভারতবিখ্যাত। কারণ ভারতীয় সমাজে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্ক সর্বার্থে স্বাভাবিক নয়। কখনও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে অত্যারের অভিযোগ ওঠে, কখনও উলটো ঘটনা খবরে আসে। এই সামাজিক বাস্তবতার মধ্যে রবিবার রাজস্থানের বারমেরে দেখা গেল অভিনব 'শাশুড়ি-পুত্রবধূ সম্মেলন'। উদ্যোক্তা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
এককালে বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত, আঞ্চলিক স্তরের নেতারা পারিবারিক বিষয়েও নাক গলায়! বর্তমান সময়েও শালিসি সভা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। গেরুয়া রাজনীতির মেরুদণ্ড আরএসএসও কী এবার মরুরাজ্যে ভোটব্যাঙ্ক গোছাতে সেই পথে হাঁটল? রবিবার সন্ধ্যায় বারমেরের জাঙ্গিড় সমাজ ভবনে সংঘের উদ্যোগে হল 'শাশুড়ি-পুত্রবধূ সম্মেলন'। যেখানে মহিলারা এই বিশেষ সম্পর্কের গুরুত্বের দিকটি নিয়ে নিজের নিজের মত জানালেন।
এক শাশুড়ি বলেন, "পুত্রবধূকে কন্যা সন্তানের নজরে দেখা উচিত। তাহলে পরিবারে একতা বাড়ে।" তিনি জানান, বিয়ের সময় তাঁর পুত্রবধূ দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ ছিলেন। পরিবার পড়াশোনার অনুমতি দেওয়ায় পুত্রবধূ সম্প্রতি নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আরএসএসের প্রবীণ প্রচারক নন্দলালা বাবা বলেন, "শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হলে পরিবারের সকলের মধ্যে সেই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে। সংসারে ঝড়ঝাপটা এলে সম্পর্কের এই শক্তিই কিন্তু কাজে আসে।"
বারমের ডিভিশনের সংঘচালক মনোহর লাল বনসল বলেন, "বারমেরে এই প্রথম শাশুড়ি-পুত্রবধূ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। বিষয়টি জরুরি হয়ে উঠছে ক্রমশ। যেহেতু পশ্চিমী সংস্কৃতির প্রভাবে অনেকেই পরিবারের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না।" উল্লেখ্য, আজও রাজস্থানে সব থেকে বেশি পণপ্রথার বলি হন তরুণীরা। স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে পুত্রবধূর আত্মহত্যার ঘটনা আকছাড় ঘটে থাকে। সেই রাজ্যে আরএসএসের শাশুড়ি-পুত্রবধূ সম্মেলন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
