সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। রেকর্ড ভোটে জয় পেয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। এবার তাঁর মসনদে বসার পালা। আর সেই অনুষ্ঠানে জয়শংকরের উপস্থিতির ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কই আরও মজবুত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও অংশ নেবেন জয়শংকর। সেই সঙ্গে ওই সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকা অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও মোদির বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই ‘প্রিয় বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নমো। শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি। আমি খুবই আগ্রহী আমাদের সম্পর্কে পুনর্জীবিত করার জন্য। এই বন্ধন কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মানবকল্যাণে আমরা একযোগে কাজ করব।’ ফলে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বে এবার আরও মজবুত হবে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।
জয়শংকর ছাড়া আরও যে আন্তর্জাতিক আঙিনার অতিথিরা সেদিন উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে থাকবেন আর্জেন্টিনার প্রসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি প্রমুখ। ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু পাসপোর্ট জট কাটিয়ে তিনি আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমন্ত্রিত চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। তিনি না এলেও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের পাঠাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘বিজয়ী ভাষণে’ ‘সোনার আমেরিকা’র স্বপ্ন দেখান বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এই জয় ঐতিহাসিক। সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক লড়াই দেখল আমেরিকা। আমেরিকাবাসীকে ধন্যবাদ।”
