shono
Advertisement
Scientist dies in Punjab

পার্কিং নিয়ে বচসার জেরে মারধর প্রতিবেশীর, অকালে প্রাণ গেল প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর

বিদেশের বহু জার্নাল ওই বিজ্ঞানীর গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
Published By: Subhajit MandalPosted: 01:04 PM Mar 13, 2025Updated: 01:04 PM Mar 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্কিং নিয়ে তুচ্ছ ঝামেলা। যার জেরে মারধর। তাতেই প্রাণ গেল প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর। পাঞ্জাবের মোহালির ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের ভিডিও ধরাও পড়েছে।

Advertisement

মৃত বিজ্ঞানীর নাম ডঃ অভিষেক স্বর্ণকার। মোহালির সেক্টর ৬৭-এ একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৩৯ বছরের ওই বিজ্ঞানী। তাঁর আসল বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। দীর্ঘদিন সুইৎজারল্যান্ডে ছিলেন। কয়েক মাস আগেই দেশে ফিরে মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন রিসার্চ বা আইআইএসইআর-এ কাজে যোগ দেন। ভাড়াবাড়িতেই পার্কিং নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে মন্টি নামের এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসায় জড়ান অভিষেক। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়ি রাখা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়েছিল। তর্কাতর্কির মাঝেই অভিষেককে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন মন্টি। তারপর শুরু হয় মারধর। মন্টি এবং কয়েকজন যুবক তাঁকে মারধর করেন। ঘুসি চালানো হয়। সেই মারধরের জেরেই আহত হন তরুণ বিজ্ঞানী। তাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর কিডনি অপারেশন হয়েছিল। বোন তাঁকে একটি কিডনি দিয়েছিলেন। অভিষেকের ডায়েলিসিস চলছিল। অসুস্থ অবস্থায় মারধরের আঘাত সহ্য করতে পারেননি।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের কাছে এসেছে। সিসিটিভ ফুটেজ দেখে প্রতিবেশী যুবক এবং আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিষেক বেশ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ছিলেন। একাধিক বিদেশি জার্নালও তাঁর গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ হেন বিজ্ঞানীর অকালমৃত্যু মানতে পারছে না তাঁর পরিবার থেকে প্রতিবেশী কেউই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মোহালির সেক্টর ৬৭-এ একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৩৯ বছরের ওই বিজ্ঞানী।
  • তাঁর আসল বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে।
  • কয়েক মাস আগেই দেশে ফিরে মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন রিসার্চ বা আইআইএসইআর-এ কাজে যোগ দেন।
Advertisement