সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্সের সূচক। বেহাল দশা নিফটিরও। প্রায় ৪ শতাংশ পড়েছে নিফটির সূচক। সবমিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। বিপুল রক্তক্ষরণ সামলে অদূর ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াবে বাজার, এমনটা অনুমান করতে পারছেন না কেউ। এহেন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করতেও আতঙ্কে ভুগছেন আমজনতা।
চলতি সপ্তাহের প্রত্যেক দিনই নিচের দিকে নেমেছে সেনসেক্সের সূচক। শুক্রবার বেলা ১টার সময় হাজার পয়েন্টেরও বেশি পড়ে ৭৩ হাজারের ঘরে নেমেছে সেনসেক্স। ব্যাঙ্কিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে এদিন। বিপুল অর্থ খুইয়েছেন স্মল এবং মিডক্যাপের বিনিয়োগকারীরা। কেবল শুক্রবারেই অন্তত ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে।
কেন এই বিরাট ধস শেয়ার বাজারে? বিশ্লেষকদের মতে, চড়া হারের মার্কিন শুল্ক চাপানো নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার রেশ এখনও বাজারে রয়েছে। ভারতের বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ কমছে হু হু করে। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ছে না। ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে চিনের বাজারে বিনিয়োগ করছে বিদেশি সংস্থাগুলি। তার মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলির আয় সংক্রান্ত গুঞ্জন। পূর্বাভাসের তুলনায় ব্যাঙ্কের আয় কমতে পারে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
রক্তক্ষরণের বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন আমজনতা। তবে বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, মার্চ মাসে হয়তো কিছুটা কমবে ক্ষতির পরিমাণ। বিদেশি শেয়ার বিক্রির পরিমাণ কমতে পারে বলেই আশাবাদী ভারতের বাজার। তবে বৃদ্ধির হার থাকবে তলানিতেই। এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিরক্ষার শেয়ারে বিনিয়োগ কিছুটা লাভজনক হতে পারে। আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের উচিত নামী এবং বিশ্বস্ত অর্থাৎ ব্লু চিপ স্টকে বিনিয়োগ করা। যেহেতু বাজার এখনও নিম্নমুখী, এই সময়ে কমদামে শেয়ার কিনে ভবিষ্যতে সেখান থেকে ফায়দা তোলার পথও খোলা থাকবে বিনিয়োগকারীদের কাছে। তবে কোন মন্ত্রে বাজারের রক্তক্ষরণ থামবে, সেই চাবিকাঠি অধরাই।
