সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট (Gujarat Flood)। সোমবার সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রাজ্যের অধিকাংশ নদী ও জলাধার। আজ থেকে আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে গুজরাটে। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র রজনীকান্তের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বন্যায় বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রও।
ইতিমধ্যেই গুজরাটের প্রায় ন’ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী জানিয়েছেন, “২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। অতিবৃষ্টি, বজ্রপাতের ফলে গত এক মাসে মোট ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে আহমেদাবাদে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যার কারণে সোমবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে সায় শিব সেনা সাংসদদের, অপেক্ষা উদ্ধবের সিদ্ধান্তের]
কেন্দ্রের তরফ থেকে গুজরাটকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে। সেই কাজে সাহায্য করছে ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীও। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত গুজরাটের দক্ষিণ এবং মধ্যভাগের জেলাগুলি। এই জেলাগুলির অধিকাংশ বাড়ির একতলা জলে ডুবে গিয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বর্ষা আসার পরেই সারা দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত এক লক্ষ মানুষ। তেলেঙ্গানায় (Telengana) বন্যার ফলে কারওর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্তত ১৫টি বাড়ি ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ছ’শোর উপরে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় আবহ দপ্তরের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায়। আগামী পাঁচদিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই রাজ্যগুলিতে।