সুব্রত বিশ্বাস: সাতসকালে জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসে শুটআউটের (Shootout) ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি পূর্ব রেলের আইজি, আরপিএফ পরম শিবের। যে পরিস্থিতিতে আরপিএফ (RPF) কনস্টেবল গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে, তার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্তের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। গোটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আইজি, আরপিএফ জানান, গুলি চালানোর সময়ে যোগী, মোদির নাম উচ্চারণ করেছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, কনস্টেবল চেতন সিংয়ের গুলিতে মৃত তিন যাত্রীই মুসলিম (Muslim)। আইজি-র প্রশ্ন, ”কেন বেছে বেছে মুসলিমদের মারল?”
সোমবার ভোরে জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসের (Jaipur-Mumbai Express) বি-৫ কামরায় শুটআউটের ঘটনা ঘটে। আরপিএফের এক এএসআই-সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়। এএসআইয়ের নাম টিকারাম। আততায়ী নিজেও আরপিএফ কনস্টেবল। গুলি চালিয়ে হত্যার পর সে পালাতে চাইলেও ধরা পড়ে যায়। পশ্চিম রেল অভিযুক্ত চেতন শর্মার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, চেতন সম্প্রতি গুজরাট (Gujarat) থেকে মুম্বইতে বদলি হয়েছেন। পরিবারকে ছেড়ে আসতে হয়েছে বলে মানসিক চাপে ছিলেন, তাই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু পরে পূর্ব রেলের আইজি, আরপিএফ পরম শিব এই দাবি একেবারে উড়িয়ে জানান, ”চেতন সিংয়ের এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ অভিসন্ধিমূলক। গুলি চালানোর সময় সে বলছিল, ‘যোগী-মোদিকে জানাও, আমার ভিডিও করো।’ ট্রেনের বিভিন্ন কামরার যে ৩ জন যাত্রী মারা গিয়েছেন, তাঁরা সকলেই মুসলিম। বেছে বেছে কেন মুসলিমদের মারল?”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় পাক ও চিনা ‘বউ’দের উপর গোয়েন্দা নজর, কার্যকলাপ জানতে তৈরি হচ্ছে ডেটা বেসও]
আইজি আরও জানান, বদলির জন্য আততায়ীর মানসিক চাপের কোনও অজুহাত হতেই পারে না। নিতান্তই জুনিয়র কনস্টেবল চেতন সিং। ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের পারেলে ট্রেনিংয়ের জন্য আসে সে। ২০১৬ সালে সেখানেই পোস্টিং হয়। সুতরাং, বদলির কোনও ব্যাপার নেই। আইজি, আরপিএফের আরও বক্তব্য, ”মানসিক চাপ থাকতেই পারে। বদলি করা হলেও সেই অর্ডার দিয়ে থাকেন অফিসাররা। তাতে সাধারণ যাত্রীদের কী দোষ? যাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরপিএফের হাতে, তাঁদেরই কেন মারল? এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও অভিসন্ধিমূলক।”