সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী শিবিরের কেউ জাতীয় সঙ্গীত বা বন্দে মাতরম না বললে তাদের কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির নেতারা। এমনকী তাদের দেশদ্রোহী তকমা দিতেও ছাড়েন না গিরিরাজ সিংদের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু এবার এনডিএ-র মঞ্চেই হল ছন্দপতন। জনসভায় দু’হাত তুলে বন্দে মাতরম ধ্বনি দিচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে এনডিএ শিবিরের যে সমস্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন তারাও সমস্বরে বন্দে মাতরম বলছেন। কিন্তু এসবের মধ্যে নীরব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
[আরও পড়ুন: জেতা নয়, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের উদ্দেশ্য বিজেপির ভোট কাটা! স্বীকার করলেন প্রিয়াঙ্কা]
মূল ঘটনাটি গত ২৫ এপ্রিলের। বিহারের দ্বারভাঙ্গার একটি সভার। যে জনসভায় হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার-সহ এনডিএ শিবিরের যাবতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সভামঞ্চ থেকে বক্তব্যের শেষে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দু’হাত তুলে বন্দে মাতরম বলা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুরে মেলায় সভাস্থলে সমবেত জনতাও। ধীরে ধীরে মঞ্চে উপস্থিত নেতারাও শুরু করলেন বন্দে মাতরম বলা।মোদির আরেক জোটসঙ্গী রামবিলাস পাসোয়ানও অন্য নেতাদের মতো হাত উঁচিয়ে বন্দে মাতরম বলেন। কিন্তু বললেন না শুধু নীতীশ কুমার। বেশ কিছুক্ষণ নীরব বসে থাকার পর, সবার শেষে অন্য নেতাদের সঙ্গে উঠে এসে হাত মেলান তিনি। কিন্তু, বন্দে মাতরম তাঁকে বলতে শোনা যায়নি।
[আরও পড়ুন: বিভাজনের প্রমাণ মেলেনি বক্তব্যে, মোদিকে ক্লিনচিট নির্বাচন কমিশনের]
রাজনৈতিক মহলের মতে এতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বৃহত্তর স্বার্থে একত্রিত থাকলেও আসলে এনডিএ শরিকদের মত মেলে না। জেডিইউ বিজেপির মতো উগ্র জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নয়। তাছাড়া, জেডিইউ-এর একটা মুসলিম ভোট ব্যাংক আছে। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ বলেন, তাঁরা যেহেতু এক ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী তাই আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও বন্দনা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সেজন্যই তাঁরা বন্দে মাতরম বলতে চান না। নীরব থেকে নীতীশ নিজের সেই ভোটব্যাংক অটুট রাখতে চাইলেন। যদিও, নীতীশের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে তুলোধোনা করছেন বিজেপিকেও। বিরোধীদের দাবি, যে বিজেপি কেউ বন্দেমাতরম বা জাতীয় সঙ্গীত না গাইলেই পাকিস্তানে পাঠানোর নিদান দেয়, তাঁরা জোটসঙ্গী নীতীশের ক্ষেত্রে চুপ কেন?
The post মোদির ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানে নীরব নীতীশ, সমালোচনা বিরোধীদের appeared first on Sangbad Pratidin.