সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত জোড়ো (Bharat Jodo) যাত্রায় গিয়ে কংগ্রেস সাংসদের মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। এরই মধ্যে এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির কচকচানি শুরু হয়ে গেল। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের দলের সাংসদের মৃত্যুর জন্য পাঞ্জাবের আপ সরকারই দায়ী। পাঞ্জাব কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতারা বলছেন, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই প্রাণ গিয়েছে সন্তোখ সিং চৌধুরীর। সেই একই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হল সাংসদের ছেলে বিক্রমজিৎ চৌধুরীর মুখেও।
সন্তোখ সিং চৌধুরীর (Santokh Singh Chowdhury) ছেলে তথা কংগ্রেস বিধায়ক বিক্রমজিৎ চৌধুরীর অভিযোগ, গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবার। কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে যখন কংগ্রেস সাংসদকে তোলা হল, তখনও তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল। শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। সেসময় অ্যাম্বুল্যান্সের চিকিৎসকরা নাকি রোগীর আত্মীয়দের সরিয়ে দিয়ে বলেন,”আপনারা সরে যান, আমাদের কাজটা করতে দিন।”
[আরও পড়ুন: কলকাতার ফুটপাথে আমজনতার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শতাব্দী-কুণালের, ব্যাখ্যা দিলেন বিতর্কেরও]
সন্তোখ সিং চৌধুরীর ছেলের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসকরা তাঁর বাবাকে কোনওরকম প্রাথমিক চিকিৎসা দেননি। তাঁরা নিজেরাই আতঙ্কে ছিলেন। কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁর বাবার হৃদরোগের কোনওরকম অতীত রেকর্ড ছিল না। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করাতেন তিনি। শুধু গাফিলতিই প্রাণ কাড়ল তাঁর। বিক্রমজিৎ চৌধুরীর টার্গেট পাঞ্জাবের আপ (AAP) সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁর নিজের দল কংগ্রেসকেও কি ক্লিনচিট দেওয়া যায়? এমনিতে ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকার কথা। আবার যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সও থাকার কথা। কিন্তু যারা যারা যাত্রায় হাঁটছেন তাঁদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কোনও ব্যবস্থা নেই।
[আরও পড়ুন: গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ ‘দিদির দূত’ জুন-লাভলির, অভিযোগ শুনে দিলেন সমাধানের আশ্বাস]
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে রাহুলের সঙ্গে ওই যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন সন্তোখ সিং চৌধুরী। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন জলন্ধরের সাংসদ। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রবীণ রাজনীতিবিদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই দুর্ঘটনার জেরে যাত্রা একদিনের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। রবিবার ফের যাত্রা চালু হয়েছে।