সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘মোদি’ পদবিধারীদের অবমাননার জের। রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা শোনাল গুজরাটের আদালত। যদিও পরক্ষণেই তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলে দু’বছরের সাজা হওয়ায় সাংসদ পদ খোয়াতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) টার্গেট করতে গিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক BJP বিধায়ক। চার বছর ধরে সেই মামলার শুনানি চলছিল সুরাটের আদালতে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। যদিও মানহানির মামলা হওয়ায় পরক্ষণেই জামিন পেয়ে যান কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু দু’বছরের সাজা হওয়ায় সাংসদ পদ খোয়াতে হতে পারে রাহুলকে। এটাই বিজেপির আসল লক্ষ্য বলে দাবি কংগ্রেসের।
[আরও পড়ুন: ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বাতিল করে ফিরছে ইন্টারভিউ! শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে বদলের সুপারিশ SSC’র]
ঠিক কী বলেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি?
২০১৯ সালের ভোটের প্রচার চলাকালীন তৎকালীন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি কর্ণাটকের কোলারের এক সভায় ছড়া কেটে বলেছিলেন, “নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি। এদের প্রত্যেকের নামেই মোদি আছে কেন? সব চোরেদের নামেই মোদি কেন থাকে?” কংগ্রেস নেতার সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মন্তব্য করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি গোটা মোদি সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। পাটনায় বিহারের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি (Sushil Modi) এবং সুরাটে বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপছে স্টুডিও, তার মধ্যেই খবর পড়ছেন! ভাইরাল পাক সাংবাদিকের ভিডিও]
চারবছর ধরে সেই মামলা চলছে সুরাটের আদালতে। এর আগে রাহুল নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছিলেন। রাহুলের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে বা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ওই কথাগুলি বলেননি রাহুল, উনি সাংসদ। কম সাজা দেওয়া হোক।” পালটা মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা হবে যে, “যারা (সাংসদ) আইন তৈরি করেন, তাদের জন্য আলাদা আইন। ওকে আইন মোতাবেক সর্বোচ্চ সাজা ও সর্বাধিক জরিমানা করা হোক।” তারপরই আদালত কংগ্রেস সাংসদকে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে। তবে, সাজা শোনানোর পরই ৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাছারা উচ্চ আদালতে আবেদন করার রাস্তাও খোলা রয়েছে কংগ্রেস সাংসদের জন্য।