সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী মারা গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে। কিন্তু নিজের পরনের সেনার পোশাকটিকে ভালবাসতেন খুব বেশি। আর স্বামীর সেই ভালবাসার মান রেখে নিজেই উর্দি গায়ে চাপালেন শহিদ কর্নেল সন্তোষ মাহাদিকের স্ত্রী স্বাতী মাহাদিক। শনিবার চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে পাস করলেন তিনি।
[জঙ্গিদের অর্থ সাহায্যের জেরে মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ হল পাকিস্তানের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক]
স্বামীর মতোই নিজেও ভারতীয় সেনায় যোগদান করতে পেরে খুশি স্বাতী। বললেন, ‘ওর (কর্নেল মাহাদিক) প্রথম প্রেম ছিল সেনার এই পোশাকটিই। সেটি পরতে পেরেই খুব ভাল লাগছে।’ এদিন স্বাতীর সঙ্গেই আরও অনেকে সেনার অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে পাস করেছেন। শনিবার সকালে সেই উপলক্ষ্যে প্যারেডেও অংশ নেন প্রত্যেকে।
২০১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় জেলার মানিগাঁ জঙ্গলে তিন জঙ্গির একটি দলের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন সন্তোষ মাহাদি। এরপরই বদলে যায় এক মেয়ে এবং এক ছেলের জননী স্বাতীর জীবন। পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্বাতী এরপরই সেনার যোগদানের ব্যাপারে মনস্থির করেন। শেষপর্যন্ত স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেনায় যোগ দিয়ে দেশের সেবা করার স্বাতীর সেই স্বপ্ন সত্যি হল। ২০১৬ সালে মরণোত্তর শৌর্য চক্র প্রাপ্ত কর্নেল সন্তোষ ছিলেন ২১ প্যারা-স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের সদস্য। প্রায় এক দশক ধরে বহু জঙ্গিকে নিকেশ করেছিলেন ৩৮ বছর বয়সি এই নির্ভীক সেনা অফিসার। সফলভাবেই অনেক জঙ্গি দমন অভিযানও সম্পন্ন করেছিলেন। সেই পথেই চলতে চান স্ত্রী স্বাতী।
[মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী পাঠিয়ে বন্যার্তদের ‘সাহায্য’ বাবা রামদেবের!]
এদিকে, সোপিয়ান জেলার ইমাম সাহিব এলাকায় সেনা কনভয়ে শনিবার হামলা চালাল জঙ্গিরা। তবে পালটা জবাব দেয় সেনা জওয়ানরা। ইতিমধ্যে হামলাকারী ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে পার্শ্ববর্তী বারবুঘ গ্রামটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, গ্রামে ৩-৪ জন জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর সেনা।