সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে ১৬৮ ঘণ্টা! তেলেঙ্গানায় ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গের ধ্বংসাবশেষের আড়ালে এখনও আটকে রয়েছেন ৮ জন শ্রমিক। সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। এবার উদ্ধারকার্যে নামল সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে শ্রমিকদের খোঁজার কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দুটি দল। শুক্রবার রেলের এক অফিসার একথা জানিয়েছেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের বিভিন্ন মানের যন্ত্রের সাহায্যে কর্মীরা ভারী লোহার বস্তু কাটতে পারদর্শী। জানা গিয়েছে, রেলের কাছে উদ্ধার কার্যে যাওয়ার নির্দেশিকা আসার পরই একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। ডিভিশন মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এস মুরালির নেতৃত্বে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার, দু'জন টেকনিশায়ানদের পাঠানো হয়। তারা মূলত লোহার বস্তু কাটতে পারদর্শী। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে আরও একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সাউথ সেন্টার রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, "জেলা কালেক্টর, লোহা ও স্টিলের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে দক্ষিণ মধ্য রেলওয়ের সাহায্য চেয়েছেন।" তেলেঙ্গানার সেচমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, পুরোদমে উদ্ধারকার্য চলছে। দু'দিনের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ করা যাবে।
দুর্ঘটনা ঘটার পর উদ্ধার কার্যে নামে সেনা, এনডিআরএফ, নেভির আধিকারিকেরা আসেন। ডাকা হয় র্যাট হোল মাইনার’দেরও। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মুন্না কুরেশি। এই মুন্নাই উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকদের উদ্ধারের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার উদ্ধার কার্যে হাত লাগাল রেল।
শনিবার সকালে তেলেঙ্গানার নগরকুরনুল জেলার শ্রীসাইলাম ড্যামে অবস্থিত সুড়ঙ্গের মধ্যে লিকেজ সমস্যা সারাই করতে গিয়েছিলেন একদল শ্রমিক। সুড়ঙ্গের প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভিতরে হঠাৎ ধস নামে ছাদে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে অন্তত ৮ জন ভিতরে আটকে পড়েন। প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, ছাদের প্রায় ১০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে যার জেরে প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় কাদামাটি ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, দিনচারেক আগেই খোলা হয়েছিল সুড়ঙ্গটি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলাশাসক বি সন্তোষ জানান, যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকী ভিতরের এয়ার চেম্বার ও কোনভেয়ার বেল্ট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনও দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটারের মতো অংশ এখনও টিকে রয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা থাকলেও থাকতে পারেন। এটাই এখন উদ্ধারকারীদের আশা। তবে যত সময় যাচ্ছে ততই সম্ভাবনা যে ক্ষীণ হচ্ছে, সেটাও মানছে প্রশাসন।
