মাসুদ আহমেদ: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। রবিবারও সেখানে ধরা পড়ল একই দৃশ্য। আবারও সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় ভিনরাজ্যের শ্রমিক।
কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটে জানানো হয়, এদিন সন্ধ্যায় কুলগামের ওয়ানপোহ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। তাতেই দু’জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন আরও একজন। এরপরই পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী এবং সেনা জওয়ানরা। গোটা এলাকাটি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এর মধ্যেই অবশ্য ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। তাতে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শ্রমিকদের একত্রিত করে সেনা, সিএপিএফ কিংবা পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি কোনও স্থানে রাখতে জরুরিভিত্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের নতুন বিপদ ‘হরকত ৩১৩’ জেহাদি গোষ্ঠী! কাশ্মীরে বুনছে নাশকতার জাল]
এর আগে গত শনিবার জোড়া দুঃসংবাদ মিলেছিল ভূস্বর্গ থেকে। শ্রীনগরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক আম নাগরিক। পুলওয়ামাতেও (Pulwama) জঙ্গিহানায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক ভিনরাজ্যের শ্রমিক। এদিকে দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর পুঞ্চ সেক্টর থেকে দুই সেনার দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছিল, গত শনিবার নিহত ওই ফুচকা বিক্রেতা কাশ্মাীরের স্থায়ী বাসিন্দা নন। তিনি আদপে বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা। নাম অরবিন্দ কুমার। বয়স ৩৬। ওইদিন সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ লাগোয়া ইদগাহ এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হন অরবিন্দ। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আর এদিন মৃত্যু হল আরও দুই জন ভিনরাজ্যের বাসিন্দার।