সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন শুল্ক-বোমায় সংকটে দেশের চিংড়ি রপ্তানি। সংকট শুধু বাংলার নয়। শুল্কবাণের জেরে অস্ত্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো রাজ্যও গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। চিংড়ি ব্যবসায়ীরা বর্তমানে বিকল্প বাজারের সন্ধান করছেন। তাঁদের টার্গেট ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির বাজার। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, ভারত প্রতি বছর প্রায় ৬৫,০০০ কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি করে। এর মধ্যে বাংলার অবদান ৪,৫০০ কোটি টাকা। মোট যতটা চিংড়ি রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ২০ শতাংশই যায় আমেরিকায়। তার পর চাহিদা অনুযায়ী ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড, চিন, জাপান এবং রাশিয়ায়। তবে আমেরিকার শুল্ক-বোঝায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। অনেকেই এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় পাঠানো 'শিপমেন্ট' বাতিল বা স্থগিত রাখার পথে হাঁটছেন।
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শ্যামসুন্দর দাসের বক্তব্য, "ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চিংড়ি রপ্তানিকারীদের কাছে একটা অপ্রত্যাশিত ধাক্কা।" আবার দিঘারই এক চিংড়ি রপ্তানিকারী চিন্তামণি মণ্ডলের কথায়, "চড়া শুল্কে চিংড়ি রপ্তানি করা মানে বড় ক্ষতির মুখে পড়া। আমি কিছুদিন অপেক্ষা করব এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। তারপর ইউরোপের দেশগুলিতে নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা করব।" একইভাবে কলকাতায় মেগা মোডা প্রাইভেট লিমিটেডের (চিংড়ি রপ্তানিকারী সংস্থা) ম্যানেজিং ডিরেক্টর যোগেশ গুপ্তার মন্তব্য, "কয়েকটা দিন যাক, কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় দেখি। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি এ রকম থাকবে না। আমেরিকা তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবে। আমরা বর্তমানে ৩০ শতাংশ রপ্তানি আমেরিকায় করি, ইউরোপে করি ২০ শতাংশের মতো। পরিস্থিতি না বদলালে ইউরোপে রপ্তানির হার বাড়াতে হবে।"
সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল কে এন রাঘবন জানিয়েছেন, "আমাদের এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের বাজার খুঁজে বের করতে হবে। সরকার বর্তমানে ব্রিটেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা চলছে। আমরা তার পর পরিস্থিতি বুঝে এগোতে পারব।"
