সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো, গণেশ চতুর্থী, অক্ষয় তৃতীয়ার মতো শুভদিনে ভালো সময় বা মাহেন্দ্রক্ষণ দেখে সন্তানের জন্মমুহূর্ত আগাম ঠিক করে নেন বহু বাবা-মা। পাঁজি দেখে গর্ভাধান থেকে সন্তানের জন্মসময়, সব কিছু ঠিক করা নতুন কিছু নয়। এই দেশে আগেও ছিল এই প্রথা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ফাইভ জি ইন্টারনেট, এআই-এর যুগেও এই রীতি মেনে চলার প্রবণতা এখন পূর্বের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
একটি রিপোর্ট বলছে, জ্যোতিষী, হস্তরেখা বিশারদ, পুরোহিতের পরামর্শ নিয়ে পঞ্জিকায় শুভ মহরত দেখে আজকাল নাকি ডাক্তারের কাছে গর্ভস্থ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর ‘বায়না’ করেন হবু বাবা-মায়েরা। বেশিরভাগ ডাক্তার মেনেও নেন এই ‘মহরত ডেলিভারি’র আবদার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনও হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বাদের ভিড় লেগে গিয়েছিল। যাঁদের সন্তান প্রসবের দিনক্ষণ ওই দিনের আশপাশেই ছিল তাঁরা ডাক্তারকে অনুরোধ করে সেই পুণ্যদিনেই সিজার করে সন্তানের জন্ম দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহরত দেখে সন্তানের জন্মের কথা ভাবার কারণ হিসাবে বেশিরভাগ দম্পতিই ভাবছেন, এই অস্থির সময়ে শিশুর ভাগ্য বদলে দিতে পারে শুভ মুহূর্তই। বেশ কিছু ক্লিনিকে মহরত ডেলিভারির জন্য বিশেষ পরিষেবার সুবিধার কথা রীতিমতো বিজ্ঞাপন করে ঘোষণা করে। এনিয়ে বেঙ্গালুরুর স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নির্মলা চন্দ্রশেখরের কথায়, মহরত ডেলিভারির অর্থ শিশুর জন্মের আগেই পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে তার জন্মক্ষণ আগাম নির্ধারণ করে রাখছেন বাবা-মায়েরা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকরা আগে দেখে নেন, গর্ভস্থ ভ্রূণের প্রসবের জন্য সঠিক দিন কোনটি। মহিলা কত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না ইত্যাদি দেখেই তাঁর মহরত ডেলিভারিতে সম্মত হন।
