সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের দায় পশ্চিমবঙ্গের ঘাড়ে চাপাতেই ফুঁসে উঠল তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগের পালটা কড়া সুরে পালটা প্রশ্ন তোলা হল, ভারত-পাক সীমান্তে তো তৃণমূলের সরকার নেই। সেখানে কেন অনুপ্রবেশ? তৃণমূলের তোপ, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যের দিকে কাঁদা ছুড়ছে বিজেপি।
কাঁটাতার বসানোর জমি দিচ্ছে না রাজ্য। তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত। এই ফাঁক দিয়েই ওপার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। সংসদ চত্ত্বরে মঙ্গলবার যখন এই অভিযোগ করছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সেই সময় সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার এলাকায় এখনও নেই ফেন্সিং। দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডা. শর্মিলা সরকার ও জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়ার প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেয় অমিত শাহের মন্ত্রক। যারপর বর্ধমান পূর্বের সাংসদ বলেন, “প্রথম কথা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে তো তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার নেই, তাহলে ওখানে কেন গোটা এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া গেল না? দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে সীমান্ত রয়েছে, তার মধ্যে একটা বড় অংশ জলা এলাকা। সেখানে কীভাবে ফেন্সিং করা যায়?" একইসঙ্গে তৃণমূলের তোপ, "বিজেপির সরকারের এই ধরনের মন্তব্যই প্রমাণ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের দিকে কাদা ছোঁড়ে বিজেপি।”
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তায় রয়েছে বিএসএফ। ফলে অনুপ্রবেশের দায় শুরু থেকেই বিএসএফের উপর চাপিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই দায় চাপা দিতেই এবার ফেন্সিংকে অস্ত্র করে রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এর পালটা তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, ভারত-পাক সীমান্তে ৯৮ শতাংশ ফেন্সিং তাহলে সেখান থেকে কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে।
পাশাপাশি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের জবাবে যে তথ্য এদিন দিল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক। তাতে দেখা গেল অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের সঙ্গে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য করেছে ভারত। ইউসুফ পাঠানের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, গত তিন বছরে আধাসামরিক বাহিনীর ৪৩৮ জন জওয়ান আত্মহত্যা করেছেন। এদিন রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি, খালি পদে নিয়োগের দাবি করেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
