বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: আমিষ-নিরামিষ বিতর্কের ঢেউ সংসদেও। সঙ্গে যুক্ত হল দুর্ব্যবহার। বিরক্ত তৃণমূলের ধরনারত সাংসদরা। প্রতিবাদে নিম্নমানের নিরামিষ খাবার প্রত্যাখান করলেন সংসদের খাবার।
অভুক্ত তৃণমূল সাংসদের জন্য বাড়ি থেকে রাতের খাবার নিয়ে আসেন অভিনেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন ও কংগ্রেস সাংসদ রেনুকা চৌধুরী। তাঁদের নিয়ে আসা খাবার খেয়েই সংসদে নিশিযাপন শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা বলে সূত্রের খবর। আবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলা অধিবেশনে কেনই শুধু নিরামিষ খাবার, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। প্রতিবাদে নিজের গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে আমিষ খাবার খান বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন তিনি।
দেশজুড়েই আমিষ-নিরামিষ বিতর্ক চলছে। বিজেপিশাসিত অনেক রাজ্যেই আমিষ খাবার বিক্রির ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। এরমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় বসেন তৃণমূলের সাংসদরা। রাত ১২ থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের সংসদীয় দল। সূত্রের খবর, রাতে ধর্নায় বসার আগে সাংসদদের জন্য খাবার অর্ডার করা হলে কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন। সেই সঙ্গে আমিষ খাবার নেই বলে জানানো হয়। তাতেই ক্ষুব্ধ হন সাংসদরা।
বাইরের কোনও জায়গা থেকে খাবার আনানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনার মাঝেই খবর যায় দুই সাংসদ জয়া বচ্চন ও রেণুকা চৌধুরীর কাছে। তাঁরাই বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন তৃণমূল সাংসদদের জন্য। একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন তাঁরাও। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এক তৃণমূল সাংসদ জানান, দিনের পর দিন সংসদের খাবারের মান যেমন খারাপ হচ্ছে, তেমনি খারাপ হচ্ছে কর্মীদের ব্যবহার। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে আমিষ খাবার বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভিন্ন খাদ্যাভাসের দেশ ভারত। সেখানে এই ব্যবস্থা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্যসভা বিতর্ক চলে। তাই সংসদের তরফেই সাংসদদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দেখা যায় সেখানে শুধুই নিরামিষ খাবার রয়েছে। সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য আমিষ খাবার আছে কিনা জানতে চান। আমিষের ব্যবস্থা নেই বলে জানানো হয়। তিনি বাধ্য হয়েই পকেটের টাকা খরচ করে আমিষ খাবার খেতে বাধ্য হন বলে জানান।
