সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বিধুমুখী দেবীর সন্তান 'আবোল তাবোল' খ্যাত সুকুমার রায়ের কথা সকলের জানা। উপেন্দ্রকিশোর-বিধুমুখীর আরেক সন্তান সুবিনয় রায়কে কম মানুষ চেনেন। এই সুবিনয় রায় 'খাদ্যশাস্ত্র' মেনে খেতে বসে প্রতিটি গ্রাসকে ৩২ বার চিবিয়ে তবে গলদ্ধকরণ করতেন বা গিলতেন। ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে একঝাঁক পড়ুয়াকে একই পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আরও কিছু জরুরি পরামর্শ দেন তিনি।
‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানতে চান, পড়ুয়াদের মধ্যে কারা গাজর চিবিয়ে খায়। জবাব না মেলায় নিজেই বলেন, জুস তো খাও নিশ্চয়ই। তাতে অবশ্য সম্মতির উত্তর মেলে। এরপর মোদি প্রশ্ন করেন, কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়? ছাত্রছাত্রীরা জানায়---জাঙ্ক ফুড, তেলভাজা, ময়দা। এরপরেই স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে কীভাবে খাওয়া উচিত, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুয়াদের কাছে মোদি জানতে চান, আমাদের কটা দাঁত রয়েছে? হইহই করে পড়ুয়ারা জবাব দেয়, বত্রিশ। তখনই প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলের শিক্ষকেরা, বাড়িতে বাবা-মা নিশ্চয়ই পরামর্শ দেন, বত্রিশ পাটি দাঁত যখন রয়েছে, তখন কমপক্ষে বত্রিশবার চিবোনো উচিত। মোদি বলেন, খাওয়ার পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এরপর জল খাওয়া নিয়েও কথা বলেন মোদি। জানতে চান, তোমাদের মধ্যে কজন জল খাওয়ার সময় জলের স্বাদ বুঝতে পারো? একথায় ছাত্রছাত্রীরা জবাব দেয়, ইয়েস স্যর। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মরশুমি ফল খাওয়ারও পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, 'পরীক্ষা পে চর্চা' মূলত পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠান হলেও, সেখানে যোগ দিয়েছিলেন অভিভাবক এবং শিক্ষকেরাও। ছাত্রছাত্রীদের ব্যর্থতা থেকে শেখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষার চাপ নিতে বারণ করেন। তিনি জানান, শুধু পড়াশোনাতেই সাফল্য খুঁজলে হবে না। সামগ্রিক সাফল্যের পথে হাঁটতে হবে। পড়ুয়াদের পরিবেশ সচেতনতারও পরামর্শ দেন মোদি।
